scorecardresearch
 

আবারও সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা, বাকি ৪ উপনির্বাচনে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ TMC-র?

গত বিধানসভা নির্বাচন বা ভবানীপুর উপনির্বাচন পর্বের মতো এবারেও সবার আগেই প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যখন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হয়, তারপর মার্চ মাসের শুরুতেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় ঘাসফুল শিবির। পরবর্তী সময় ভবানীপুর উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা নিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর তারপর বাকি ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই স্ট্র্যাটিজি নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বাকি ৪ উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল
  • এর আগেও একই ভূমিকা নিয়েছে শাসক দল
  • এর নেপথ্যে ঠিক কোন স্ট্র্যাটিজি?

সদ্য সমাপ্ত ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের সাধারণ নির্বাচনে ৩-০ গোলে বিরোধীদের হারিয়েছে তৃণমূল। আর সেই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনেই তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে পরবর্তী ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রস্তুতি। ভবানীপুরে নিজের জয়ের পরেই আসন্ন উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণী করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৩টির প্রার্থী ঘোষণা করেন মমতা। পরে তৃণমূল আরও ১ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। 

প্রার্থী হলেন যাঁরা...

চলতি মাসের ৩০ তারিখ হতে চলা এই উপনির্বাচনে খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামী, দিনহাটায় উদয়ন গুহ এবং গোসাবায় সুব্রত মণ্ডলকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এক্ষেত্রেও ৪-০ গোলেই বিরোধীদের হারাতে চায় রাজ্যের শাসক দল। 

তবে এখানে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হল, গত বিধানসভা নির্বাচন বা ভবানীপুর উপনির্বাচন পর্বের মতো এবারেও সবার আগেই প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যখন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হয়, তারপর মার্চ মাসের শুরুতেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় ঘাসফুল শিবির। পরবর্তী সময় ভবানীপুর উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা নিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। আর তারপর বাকি ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই স্ট্র্যাটিজি নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

রাজনৈতিকমহল মনে করছে আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণার নেপথ্যে হয়ত বিশেষ রণকৌশল রয়েছে তৃণমূলের। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বিরোধীদের থেকে অনেকটা আগেই ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীর পরিচিতি ঘটানো যায়, তেমনই সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়াতেও থাকা যায় এগিয়ে। তাছাড়া আগে থেকে প্রার্থী ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বিরোধীদের ওপর বাড়তি চাপও সৃষ্টি করা যায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা হয়ত এবারেও তৃণমূলের অ্যাডভান্টেজ হিসেবেই প্রমাণিত হবে।    

Advertisement

আরও পড়ুনত্রিপুরায় BJP-তে ভাঙন, TMC-তে যোগের সম্ভাবনা MLA আশিস দাসের

 

Advertisement