আমেরিকার বনাঞ্চলে ব্রাউনটেইল মথের (Browntail Moth) সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলি পাতা খায়। ফলে গাছে প্রায় পাতা থাকছে না বললেই চলে। এগুলির কারণে মানুষের দেহে চুলকানি মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। শরীরে লাল ফুসকুড়িও দেখা যাচ্ছে। এই পোকামাকড়ের পালকে এমনকিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য ঠিক নয়। এছাড়াও, এগুলির ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেতেন যে গ্রীষ্মে ব্রাউনটেল মথের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে এবার এরা শীতেও বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। গরম এখনও পুরোপুরি আসেনি। এগুলির সংখ্যা সাধারণত গ্রীষ্মের শুরুতে বাড়তে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এগুলি আগে থেকেই চলে আসছে। এগুলি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে। সম্প্রতি এনভায়রনমেন্টাল এনটোমোলজি জার্নালে একটি গবেষণা রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন - মানবদেহে কোন অংশের প্রতি ২ মাসে পরিবর্তন হয়, জানেন?
অদূর ভবিষ্যতে তাদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ণ যেভাবে বাড়ছে, সেই অনুযায়ী এই পোকামাকড়ও বাড়বে। গাছগুলি পাতা ছাড়া দেখাবে। আর মানুষ এদের উৎপাতে বিরক্ত হয়ে উঠবে। কীটতত্ত্বের অধ্যাপক এলিয়েনর গ্রোডেন জানাচ্ছেন, উষ্ণতা এই পোকামাকড়ের জন্য সুবিধার। তারা এক সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মানুষকে অসুস্থ করে।
অধ্যাপক এলিয়েনর বলেন, গরমে খাওয়া-দাওয়া করে এই পোকাগুলি খুবই মোটা হয়ে যায়। এরপর শীতকালে তারা হাইবারনেশনে চলে যায়। অর্থাৎ তারা ঘুমিয়ে পড়ে। তারা সাধারণত গর্তে এবং গাছের ফাটলে তৈরি গর্তের ভিতরে তৈরি ডিমের মতো কাঠামোতে নিজেদেরে ঢেকে নিয়ে ঘুমায়। আবার গ্রীষ্ম আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। যদিও প্রচুর পরিমান পোকা শীতে মারাও যায়। কিন্তু যেগুলি খাওয়া-দাওয়া করে স্বাস্থ্য বজায় রাখে, সেগুলি শীতে বেঁচে থাকে।
ব্রাউনটেল মথ আসলে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার একটি দেশীয় কীট। এটি ঘটনাক্রমে ১৯ শতকের শেষের দিকে ম্যাসাচুসেটসে পৌঁছেছিল। এখন এগুলি তিনটি স্থানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। উপকূলীয় মায়েন, কেপ কড এবং ম্যাসাচুসেটস। এই পোকামাকড় জঙ্গল এবং মানুষের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক।
Rash-causing #moth spreading due to warming, scientists find https://t.co/EaYT1hhGqm
— Phys.org (@physorg_com) February 27, 2022
মায়েন ফরেস্ট সার্ভিসের মতে, এগুলি ১৯০৪ সালে আমেরিকার মায়েনে পৌঁছেছিল। তারপর, পরবর্তী কয়েক বছরে, এগুলি সেখানে কার্যত সর্বনাশ ডেকে আনে। গত বছর এই পোকা বেশি ধ্বংসলীলা চালায়। বর্তমানে তাদের সংখ্যা ও এলাকা খুব দ্রুত বাড়ছে। গত দুই বছরে রাজ্যের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
অদূর ভবিষ্যতে তাদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ণ যেভাবে বাড়ছে, সেই অনুযায়ী এই পোকামাকড়ও বাড়বে। গাছগুলি পাতা ছাড়া দেখাবে। আর মানুষ এদের উৎপাতে বিরক্ত হয়ে উঠবে। কীটতত্ত্বের অধ্যাপক এলিয়েনর গ্রোডেন জানাচ্ছেন, উষ্ণতা এই পোকামাকড়ের জন্য সুবিধার। তারা এক সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মানুষকে অসুস্থ করে।
অধ্যাপক এলিয়েনর বলেন, গরমে খাওয়া-দাওয়া করে এই পোকাগুলি খুবই মোটা হয়ে যায়। এরপর শীতকালে তারা হাইবারনেশনে চলে যায়। অর্থাৎ তারা ঘুমিয়ে পড়ে। তারা সাধারণত গর্তে এবং গাছের ফাটলে তৈরি গর্তের ভিতরে তৈরি ডিমের মতো কাঠামোতে নিজেদেরে ঢেকে নিয়ে ঘুমায়। আবার গ্রীষ্ম আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। যদিও প্রচুর পরিমান পোকা শীতে মারাও যায়। কিন্তু যেগুলি খাওয়া-দাওয়া করে স্বাস্থ্য বজায় রাখে, সেগুলি শীতে বেঁচে থাকে।