গোটা দেশ করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। দ্বিতীয় ওয়েভে দেশে আক্রান্ত হচ্ছে দৈনিক ৪ লাখ মানুষ। কিন্তু গত বছর প্রথমে যে দেশে প্রথম কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল, সেই চিনেই দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। চিনের বাসিন্দারা করোনা সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রতিদিন গরুর দুধ পান করছেন।
বলা হচ্ছে দুধ শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ায়। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২০ সালে চিনের সংসদেও এই দুধের বিষয় কথা হয়েছিল। সরকার থেকে নাগরিকদের বলা হয়েছিল দুধ খেতে। প্রতিদিন সবাইকে ৩০০ গ্রাম দুধ খেতে বলা হয়েছিল।
সাংহাই হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের বিখ্যাত ডাক্তার ঝাং ওয়েনহং সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চীনের পিতামাতাদের একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসক ওয়েনহং বলেছিলেন, 'বাবা-মাকে প্রতিদিন সকালে শিশুদের দুধ এবং ডিম খাওয়ানো শুরু করা উচিত।
চিনের অনেক সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ঘিরে খুব বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই এই যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
চিনে ব্রেকফাস্ট প্রোরিজ খাবার বেশি চলে। তাই সেখানে দুধ ব্যবহার ঘিরে প্রশ্ন উঠছিল। অনেকের মতে প্রোরিজের মতো খাবারেও প্রোটিন রয়েছে।
চিন সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৫০ লক্ষ টন দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা এখন পর্যন্ত উৎপাদনের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি। চিনে গরুর যত্নের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে চীনের বহু প্রাণী কল্যাণ দল বেশ কয়েকটি গবেষণার বরাত দিয়ে এ নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। তারা বলেছে যে গরুর দুধ পান করায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হার্ট সম্পর্কিত অনেক রোগ হতে পারে।
চিনের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুধ পান করার অভ্যাসটি প্রচার করছেন। একটি পৃথক গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। লোকেরা তাদের প্রিয় ব্র্যান্ড এবং দুধ থেকে বিভিন্ন খাবার তৈরি রেসিপিগুলি ভাগ করছে। যে সমস্ত লোকদের দুধ হজমে অসুবিধা হয়, তাদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রেসক্রিপশন বলা হচ্ছে যে কীভাবে দুধের সাথে মিশ্রিত জল পান করলে এই সমস্যা হয় না।