সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ক্যুইন্সল্যন্ডে (Queensland) রাতের বেলায় আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ। একটি জ্বলন্ত বস্তুকে দ্রুতগতিতে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। প্রথমে ওটিকে একটি উল্কাপিণ্ড হিসেবেই মনে করেছিলেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য জানা যায়, সেটি চিনের পাঠানো একটি রকেট যা বায়ুমণ্ডলে ফিরে এসে জ্বলতে শুরু করে। (ছবি-গেট্টি)
অনেকেই ওই জ্বলন্ত বস্তুর ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করেন। প্রথম যিনি এর ভিডিও ক্যাপচার করেন তিনি হলেন জেস্পার ন্যাশ। জেস্পার বলেন, প্রথমে সেটিকে উল্পাপিণ্ডই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটিকে ভেঙে টুকরো হতে দেখে জেস্পার ও তাঁর স্ত্রীয়ের মনে হয় সেটি হয়ত মহাকাশের কোনও বর্জ্য, যা পৃথিবীতে নেমে আসছে। (ছবি-রয়টার্স)
এই বিষয়ে সাউদার্ন ক্যুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের এক অধ্যাপক জানান, এটি চিনের এক টি রকেট। ২০১৯-এর নভেম্বর মাসে এই রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানো হয়। সেই রকেটটিই পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে এল। (ছবি-রয়টার্স)
জ্যাক রবিন্স নামে আরও একজন জানান, প্রথমে তিনিও ভেবেছিলেন সেটি একটি উল্কাপিণ্ড। কিন্তু যখন তিনি জানতে পারেন সেটি চিনের তৈরি করা রকেটের টুকরো তখন রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েন। (ছবি-গেটি)
গত বছর ১১ মে পৃথিবীর বুক চিনের রকেটের একটি বড় অংশ আছড়ে পড়ে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে আসা রকেটের এই টুকরোর ওজন ছিল ১৭ হাজার ৮০০ কিলোগ্রাম। এক সপ্তাহ ধরে মহাকাশে প্রদক্ষিণের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। (ছবি-গেটি)
জানা গেছে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আগে এটি আমেরিকার নিউইয়র্ক এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরের কাছ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। তারপর আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। মহাকাশে বিকল হয়ে যাওয়া উপগ্রহ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে এদের গতিবেগ ঘণ্টার ২৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। (ছবি-গেটি)