বন্ধুর কাছেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান। যে চিনকে বন্ধু পাতিয়েছে ইসলামাবাদ, সেই হঠাত্ এমন পদক্ষেপ করবে, বোধ হয় ঠাউর করতে পারেনি পাকিস্তান। আফগানিস্তানের তালিবানকে সরকারকে স্বীকৃতি দিল বেজিং। বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন তালিবান সরকারের সংঘাত চরমে, তখনই এরকম সিদ্ধান্ত নিল চিন।
রাষ্ট্রদূতকেও স্বীকৃতি দিয়েছে চিন
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বাং বেনবিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে চিনের প্রতিবেশী বন্ধু। তাই আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সমূহ বিচ্ছিন্ন করা ঠিক নয়। এর আগে কাবুল জানিয়েছিল, তালিবান নির্বাচিত বিলাল করিমকে চিনে তালিবান রাষ্ট্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক।
২০২১ সালের অগাস্টে আফগানিস্তান দখল করতে আক্রমণ চালায় তালিবানরা। ন্যাটো বাহিনী ফেরত যেতেই হামলা চালায় তালিবান। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। চিন তারপর থেকেই পাকিস্তান ও রাশিয়ার পাশাপাশি কাবুলেও দূতাবাস চালু করে দেয়।
নারী নির্যাতনে নিন্দা তালিবানদের
তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই সে দেশে নারীদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয় বিশ্ব। তখনও অন্তর্বর্তীকালীন তালিবান সরকারের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখে দেয় চিন। কিন্তু আধিকারিক স্বীকৃতি দেয়নি। এবার তাও দিয়ে দিল বেজিং। যার নির্যাস, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর করল বেজিং।
চিনের এই পদক্ষেপে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের যুক্তি, একটি উদার কূটনতৈকি সম্পর্ক তৈরি হবে। যার জেরে সব ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হবে।
তালিবান সরকারে নারাজ পাকিস্তান
অন্যদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের সঙ্গে সংঘাত চলছেই পাকিস্তানের। তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ পাকিস্তান। ইসলামাবাদের বক্তব্য, পাকিস্তানে বারবার জঙ্গি হানায় পাকিস্তানি তালিবানদের যোগ প্রমাণিত হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না আফগানিস্তান সরকার।