scorecardresearch
 

Pakistan Blast : চলছে ম্যাচ, পাশেই বিস্ফোরণ; অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন আফ্রিদি-বাবররা

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের নিরাপত্তা কর্মীদের নিশানা করে খুব সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বিস্ফোরণটি। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। তথ্য অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে কোয়েটা পুলিশ লাইনস এলাকায়। আহতদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মী। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement
শাহিদ আফ্রিদি ও বাবার আজম (বামদিক থেকে) শাহিদ আফ্রিদি ও বাবার আজম (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • পাকিস্তানে ফের বিস্ফোরণ
  • সেই সময় স্টেডিয়ামে চলছিল ম্যাচ
  • রক্ষা ক্রিকেটারদের

রবিবার ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর, কোয়েটা শহরের নবাব আকবর বুগতি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লিগের (PSL) প্রদর্শনী ম্যাচটিও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

সেই ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম এবং প্রাক্তন অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদির মতো হাই-প্রোফাইল তারকারাও। তবে সেউই বিস্ফোরণে কেউ আহত হননি।

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের নিরাপত্তা কর্মীদের নিশানা করে খুব সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বিস্ফোরণটি। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)।

তথ্য অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে কোয়েটা পুলিশ লাইনস এলাকায়। আহতদের বেশিরভাগই পুলিশ কর্মী। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময়ে কোয়েটার নবাব আকবর বুগতি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লিগের (PSL) প্রদর্শনী ম্যাচ চলছিল। ম্যাচে অনেক বড় বড় খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন। তবে বিস্ফোরণে কোনও খেলোয়াড় আহত হননি।

কিছুদিন আগে পেশোয়ারেও বিস্ফোরণ
দিন কয়েক আগে, পেশোয়ারের একটি মসজিদে দুপুরের নমাজের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় তালিবান। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০১ জনের। আহত। ২০০ জনেরও বেশি। নিহতদের অধিকাংশই নিরাপত্তাকর্মী। গত বছরের নভেম্বরে, টিটিপি জুন মাস থেকে সরকারের সঙ্গে চলা অনির্দিষ্টকালের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় জঙ্গিদের। প্রসঙ্গত, টিটিপির আল-কায়েদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। 

এর আগেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে টিটিপি
২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত, TTP পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে এবং সন্ত্রাসবাদীদের সারা দেশে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়। এর আগে ২০০৯ সালে সেনা সদর দফতরে ও সামরিক ছাউনিতে এবং ২০০৮ সালে ইসলামাবাদে ম্যারিয়ট হোটেলে হামলা চালায় TTP। ২০১৪ সালে, পাকিস্তানি তালিবানরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলেও হামলা চালায়। তাতে ১৩১ জন পড়ুয়া-সহ কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃক্যু হয়। 

Advertisement

আরও পড়ুন - দেবগুরু ও চন্দ্রের মিলনে নবপঞ্চম যোগ, নাম-যশ-অর্থে ৪ রাশির মধুর জীবন

 

Advertisement