scorecardresearch
 

India-Pakistan Trade: 'ওদের উন্নতি দেখে...', পাক প্রধানমন্ত্রীর সামনেই ভারতের সঙ্গে হাত মেলানোর দাবি

সিএম হাউসে শাহবাজ শরিফ এবং করাচি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈঠক। সেই সময় ব্যবসায়ীরা বলেন,'পাকিস্তানে জ্বালানির দাম অনেক বেশি। সরকারি নীতিরও ক্রমাগত বদল ঘটছে। যে কারণে ব্যবসায় নানা সমস্যার তৈরি হচ্ছে'।

Advertisement
শাহবাজ শরিফ শাহবাজ শরিফ
হাইলাইটস
  • শাহবাজ শরিফ ও ব্যবসায়ীদের বৈঠক।
  • প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈঠক।

ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলোচনা শুরু করুন। পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে এমনই দাবি উঠছে। শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বলেছে, দেশের বর্তমান অবস্থা এমন যে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব। ব্যবসায়ীদের দাবি,ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করুন।  কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে হাত মেলান। যাতে দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। 

পিএম হাউসে শাহবাজ শরিফ এবং করাচি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বৈঠক। সেই সময় ব্যবসায়ীরা বলেন,'পাকিস্তানে জ্বালানির দাম অনেক বেশি। সরকারি নীতিরও ক্রমাগত বদল ঘটছে। যে কারণে ব্যবসায় নানা সমস্যার তৈরি হচ্ছে'। পাকিস্তানি সংবাদপত্র 'ডন'-এর মতে, 'ব্যবসায়ীদের কড়া কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে। তাঁকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটাতে ইমরান খানের সঙ্গে হাত মেলানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

শরীফের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের বৃহত্তম ব্যবসায়িক সংগঠন আরিফ হাবিব গ্রুপের প্রধান আরিফ হাবিব বলেন,'ক্ষমতায় আসার পর আপনি কয়েকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যার ভালো ফল পেয়েছেন। তাতে আমরা অগ্রগতি লাভ করেছি। আমি আপনাকে আরও কিছু লোকের সঙ্গে হাত মেলানোর পরামর্শ দিচ্ছি। তার অন্যতম ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হোক। এটা আমাদের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে'। আরিফ হাবিব আরও বলেন, 'আদিয়ালা কারাগারে থাকা ব্যক্তির (ইমরান খান) সঙ্গে অন্য হাত মেলান। আমি নিশ্চিত আপনি তা করতে পারবেন হবেন'। 

আরও পড়ুন

কী বললেন শাহবাজ? 

ভারতের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করা এবং ইমরান খানের সঙ্গে হাত মেলানো সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দেননি শাহবাজ শরিফ। সব পরামর্শ নিয়ে মাথায় রেখেছেন। তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন,'বর্তমান সব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি সারা দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

Advertisement

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শরিফ তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন,'পাকিস্তান থেকে ভাগ হওয়া একটি দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ), যা এক সময় দেশের জন্য বোঝা হিসেবে বিবেচিত হত। আজ শিল্পের দিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে'।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,'আমি খুব ছোট ছিলাম যখন আমাদের বলা হয়েছিল যে এই অংশটি আমাদের কাঁধের বোঝা। আজ আপনারা সকলেই জানেন যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেই বোঝা কোথায় পৌঁছেছে! আর আজ যখন আমরা তাঁদের দিকে তাকালে নিজেরাই লজ্জিত বোধ করি'। 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০১৯ সাল থেকে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এর পিছনে দুটি কারণ আছে। প্রথম কারণ- ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি  পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তার পরে ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ। পাকিস্তান থেকে কেনা পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পাকিস্তান থেকে আমদানির পরিমাণ ৯১% কমেছে।

দ্বিতীয় কারণ- ২০১৯ সালের অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার।  তখন পাকিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। নিষেধাজ্ঞার ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বাণিজ্য বন্ধের কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের পোশাক ও চিনি শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পোশাক এবং ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল ছিল পাকিস্তান।

TAGS:
Advertisement