বিচারপতি নিয়োগ করে তদন্ত শুরু
রাফাল দুর্নীতি মামলায় নতুন মাত্রা। ফ্রান্সের তরফে রাফাল দুর্নীতির তদন্ত করতে নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ করা হলো।
দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা
২০১৬ সালে ফ্রান্সের ড্যাসল্ট কোম্পানি নির্মিত ৩৬ টি ফাইটার জেট রাফাল কিনেছিল ভারত সরকার। তাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।
নতুন করে চুক্তি খতিয়ে দেখা হবে
ফ্রেঞ্চ পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর তরফ এ জানানো হয়, ভারত সরকার এবং ফ্রান্সের এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি ড্যাসল্ট-এর মধ্যে দেশের মধ্যে 36 টি রাফাল ফাইটার জেট কেনার চুক্তি তা খতিয়ে দেখা হবে।
ফ্রান্সের সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট
ফ্রান্সের সংবাদপত্র মিডিয়াপার্ট, শুক্রবার একটি রিপোর্টে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মামলার পুনর্তদন্ত আসলে শুরু হয়েছে ১৪ জুন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন স্বাধীন বিচারককে। যিনি নিজে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক রস হল্যান্ডের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। অতি স্পর্শকাতর এই চুক্তি ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে ২০১৬ সালে করা হয়েছিল। যা নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে মিডিয়াপার্ট।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন অর্থমন্ত্রী
২০১৬ সালে যখন ভারত এবং ওদেশের মধ্যে রাফাল চুক্তি হয়, তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন হল্যান্ড এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন ছিলেন তার ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্স মিনিস্টার। বিষয়টি জানা গিয়েছে, ওই সংবাদপত্র এবং পাশাপাশি ফরাসি এনজিও শেরপার দায়ের করা রিপোর্ট অনুযায়ী এর আগেও তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল, যা ২০১৮ সালে নাকচ করে দেওয়া হয়।
ড্যাসল্টের মুখে কুলুপ
তবে এই তদন্ত এবং নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশনের তরফ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগে অবশ্য এই চুক্তিতে কোনও রকম অনিয়ম নেই বলে দাবি করেছিলেন ড্যাসল্ট কর্তারা।
পুরনো চুক্তি ভেঙে নতুন চুক্তিতেই বিপত্তি
প্রাথমিকভাবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এর সঙ্গে ১২৬ টি ফাইটার বিমান কেনার কথা ছিল। ভারত সরকারের পক্ষে সে চুক্তি ভেঙে ড্যাসল্ট- সঙ্গে চুক্তি করা হয়। বিজেপি সরকার আসার পর নরেন্দ্র মোদি ভারত ফ্রান্সের মধ্যে একটি আন্ত সরকার চুক্তি করেন। ৩৬ টি রাফাল মিডিয়াম মাল্টিরোল কম্বাট এয়ারক্রাফট কেনার জন্য। তারপরে এই চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন রকম অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ভারত এবং ফ্রান্স দুদেশেই। এমনকী পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনিল আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে ড্যাসল্টের অফসেট পার্টনার হিসেবে নেওয়া হয়। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে।