তালিবানদের দখলে গোটা আফগানিস্তান। এই পরিস্থিতিতে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে তা নিয়ে ধন্দে গোটা বিশ্ব। যদিও পাকিস্তান, চিন তালিবানদের পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। ভারতের তরফে এখনও কিছু বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে এবারের তালিবানি শাসন গতবারের থেকে আলাদা হবে বলেই তারা শুরু থেকে দাবি করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে তালিবানরা।
তারা জানিয়েছে,"আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিকে আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের শাসন তাদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হবে না। আন্তর্জাতিক দূতাবাসগুলিকেও আশ্বস্ত করতে চাই। আমরা কাবুলে আন্তর্জাতিক দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাকি এলাকা দখলের পর কাবুলে গিয়ে থামা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সরকারই হার শিকার করল। তারা নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা এখন সব বিদেশি সংস্থাকে নিরাপত্তা দেব। আফগানিস্তানের ভিতরে বা বাইরে আমরা শত্রু তৈরি করতে চাই না।"
মঙ্গলবার তালিবানরা ঘোষণা করে, সাধারণ কর্মীদের পাশাপাশি মহিলারাও যদি সরকারি কাজে দফতর আসতে চায় তাদেরও স্বাগত। এই ইতিবাচক বাক্যের সমর্থন জানায় তুরস্কও। আগেই তাদের সমর্থন জানায় চিন ও পাকিস্তান। সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়াও। ভারত ও আমেরিকা কোনও প্রতিক্রিয়া না দিয়ে আপাতত দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিয়ে দেশে ফেরানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
তালিবানদের তরফে শুরু থেকেই ঘোষণা হয়েছে, এবারের তাদের শাসনকাল শান্তিপূর্ণ হবে। মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। রক্তপাতের মতো ঘটনা ঘটবে না। এবার তারা দেশ শাসন করে ক্ষমতা বজায় রাখতে এসেছে। হাতে এসেছে মার্কিন ও আফগান সেনার অস্ত্রশস্ত্রও। মুখে বারবার এই দাবি করলেও, তালিবানদের শর্তগুলি অন্য ইঙ্গিতই করছে। বাড়িতে দুই মেয়ে থাকলে একজনকে তালিবানদের সঙ্গে বিবাহ দিতে হবে, মহিলাদের পূর্ণ পোশাকে বাইরে বেরোতে হবে। এমনকি কোনও মহিলার ছবিও প্রকাশ্যে আসবে না। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া মহিলারা বাইরে পা রাখতে পারবে না। এই কারণগুলিই ভাবাচ্ছে।