ডিভোর্সের পর একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন গায়ক নোবেল। প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল একাধিক অভিযোগ আনছে নোবেলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন মইনুল আহসান নোবেল। পেশাগত থেকে ব্যক্তিগত নোবেল জীবন থেকে বিতর্ক যেন সরতে চায় না। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নোবেলের মাদকাসক্ত নিয়ে মুখ খোলেন স্ত্রী সালসাবিল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এক কলেজের অনুষ্ঠানে গিয়ে মত্ত অবস্থায় মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে কম হাঙ্গামা হয়নি। নোবেলের মাদক নেওয়া প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন অনেকেই। এবার নোবেলের মাদক নেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন সালসাবিল। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সালসাবিল বলেন যে, মাদক নেওয়ার পর একেবারে অন্য ধরনের মানুষ হয়ে যান নোবেল। দিনে প্রায় ৪ লাখ টাকার কাছাকাছি মাদক তিনি সেবন করে থাকেন। এর আগে নোবেলের স্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে নোবেল আগে এরকম ছিল না। আগে সে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নোবেল নমাজ পড়ে উঠতেন। এমনকী, সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে নোবেল বলেও জানিয়েছেন সালসাবিল। প্রাক্তন স্ত্রীর নজরে নোবেল এতটা কী করে বদলে গেল সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশের সাহিত্যে কোনও অবদান নেই', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েও বেলাগাম হয়েছিলেন নোবেল
সম্প্রতি বাংলাদেশের এক কলেজের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পান সঙ্গীতশিল্পী নোবেল। কিন্তু গান গাইতে উঠেই অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে। মঞ্চে উঠে শুরু করেন তুমুল অশান্তি। মাইক ভেঙে দেন, স্টেজে বসে পড়েন– সে এক তুলকালাম কাণ্ড। তবে থেকেই আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছেন গায়ক। যদিও মাদক সেবন প্রসঙ্গে নোবেল মুখ না খুললেন মদ্যপান যে তিনি করে থাকেন তা নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন গায়ক। পেশাদার শিল্পীকেই দর্শক-শ্রোতাবৃন্দের মনোরঞ্জনের জন্য মঞ্চে ওঠার আগে ‘গলা ভিজিয়ে’ নিতে হয়। এবং সে কথা অকপটে স্বীকার করতেও পিছপা হন না সেই গায়ক। তবে শুধু স্বীকার করে নেওয়াই নয়, সেজন্য ভক্তদের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইতেও নির্দ্বিধ এমন গায়ক। বিতর্ক যাঁর সঙ্গে জুড়ে যেতে একপ্রকার ভালবাসে যখন-তখন, সেই বিতর্কিত সঙ্গীতশিল্পী নোবেল আবারও শিরোনামে একবার—সৌজন্যে স্টেজে উঠে গান গাওয়ার আগে মদ্যপান। শিল্পীর যদিও দাবি, ‘অতিরিক্ত নয়’ মোটেই।
আরও পড়ুন: 'মাকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠায়', নোবেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক প্রাক্তন স্ত্রী
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও নোবেল নিজের যে ছবি দিয়েছেন তাতে তাঁর হাতে মদের বোতল দেখা গিয়েছে। একাধিকবার নানান বিতর্কে জড়িয়েও শিক্ষা হয়নি বাংলাদেশী এই গায়কের। নোবেলের স্ত্রী কিছুদিন আগেও নোবেলের বিরুদ্ধে তাঁর মারধর করার অভিযোগ এনেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, নোবেল ও সালসাবিলের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নোবেল যখন সারেগামাপা-এর প্রতিযোগী ছিলেন সেই তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। পরিবারের অমতে গিয়ে বিয়ে করেও তা বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সালসাবিল অভিযোগ করে সেই সময় জানিয়েছিলেন যে নোবেল ক্রমে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছিল। মদ খাওয়া বাড়িয়ে দেয় এবং তাঁর গায়েও নাকি হাত তোলে। এরপর তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন একটা সময়। সম্প্রতি সালসাবিল যখন তাঁকে মাদক ছাড়ার কথা বলেন, বলেন চিকিৎসা করানোর জন্য, নোবেল তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি কখনই মাদক ছাড়বেন না। অগত্যা নোবেলের থেকে আইনত বিচ্ছেদ নিতে বাধ্য হন সালসাবিল।