গোয়েন্দা গল্পের প্রতি বাঙালির টান বরাবর বেশি। তা সে ফেলুদা, ব্যোমকেশ, মিতিন মাসি, একেন হোক কিংবা নতুন কোনও গোয়েন্দা। আসছে নতুন এক ডিটেকটিভ গল্প - 'অবনী সেন এর ৭নং কেস' (Abani Sen Er 7 No Case)। সিরিজটি পরিচালনা করছেন নীল নওয়াজ। মূলত এক গোয়েন্দাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে এই গল্প। ইতিমধ্যে কলকাতা শহরে শ্যুটিং শেষ হয়েছে সিরিজের (Web Series)।
'অবনী সেন এর ৭নং কেস'-এ মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় (Bibriti Chatterjee) ও দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায় (Debpriyo Mukherjee)। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত, যুধাজিৎ সরকার, সুব্রত গুহ রায়, সৌম্য মজুমদার, কৌশিক গোস্বামী, দিশা ভট্টাচার্য, সুস্মিতা রায়ের মতো শিল্পীরা। সিরিজের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন সাগ্নিক।
পরিচালক নীল নওয়াজ জানালেন, "অবনী সেন এর ৭নং কেস- যতটা না ডিটেকটিভ গল্প, তার থেকে অনেক বেশি ডিটেকটিভের গল্প। রেডিমেড হিরোয়িক গোয়েন্দা তো অনেক দেখলাম, এবার না হয় একজন গোয়েন্দা তৈরি হওয়ার জার্নিটা দেখি।"
পূর্বসূরিদের উত্তরাধিকার বজায় রাখাতে গিয়ে সমস্যায় পড়া কোনও নতুন কথা নয়। অন্তত মধ্যবিত্ত সমাজে, এই ঘটনা বহুক্ষেত্রে দেখা যায়। নয়ের দশকের তাবড় গোয়েন্দা দক্ষিণারঞ্জন সেন। ছিচকে চোর থেকে দুঁদে হত্যাকারী, কেউই এড়িয়ে যেতে পারেনি দক্ষিণারঞ্জনের দৃষ্টি। তবে এই গল্প দক্ষিণারঞ্জনের নয়। এটা অবনীর গল্প। দক্ষিণারঞ্জনের পুত্র অবনী সেনের।
বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারেনি অবনী। কিন্তু ছোটবেলায় থেকেই ঠাম্মার কাছে দক্ষিণারঞ্জনের রোমাঞ্চকর সব গল্প শুনে বড় হয়েছে সে। তখন থেকেই তার মাথায় গোয়েন্দা হওয়ার ভূত চেপে বসে। বাবার নাম ভাঙিয়ে ৬টা কেস সে পায়। কিন্তু কর্মদক্ষতা ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অভাবে কোনও রহস্যের সমাধান সে করতে পারেনি। অগত্যা নতুন কেস পাওয়া বন্ধ। এরপর থেকে সবাই তাকে 'ডিটেকটিভ' নয়, 'ডিফেকটিভ' নামে বেশি ডাকে। এই সিরিজ এর প্রথম সিজন শুরু হয় এখানেই।
অবনীর অন্তিম পরিণতি কী হয়? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে সিরিজে। দেখতে চোখ রাখতে হবে "অবনী সেনের ৭ নং কেস" এ। ওয়েব সিরিজটি মুক্তি পাবে শ্যাল্পিকা এন্টারটেনমেন্ট'-এর ব্যানারে। সব ঠিক থাকলে, আগামী মাসেই এক জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং শুরু হবে 'অবনী সেন এর ৭ নং কেস'।