গ্রেফতার হন 'তারক মেহতা কা উল্টা চশমা'-এর ববিতা জি ওরফে অভিনেত্রী মুনমুন দত্ত। হাঁসি থানায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি নৃশংসতা আইনের অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদিন তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি বিনোদ শঙ্করের সামনে হাজির হন মুনমুন।
তদন্তকারী অফিসার আনুষ্ঠানিকভাবে মুনমুনকে গ্রেফতার করেন এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান মুনমুন দত্ত। সেই সময়, ডিএসপি অফিসের বাইরে জমায়েতের ফলে পুলিশ প্রশাসন সতর্কতা হিসাবে, ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে দুই নিরাপত্তাকর্মী ও বাউন্সারসহ ডিএসপি অফিসে পৌঁছান মুনমুন দত্ত।
হাঁসির এক দলিত কর্মী রজত কলসান, গত ১৩ মে SC-ST আইনের অধীনে মুনমুন দত্তের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এরপরে মুনমুন দত্ত তাঁর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাটি বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনটি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয়।
হিসারে গঠিত SC-ST আইনের অধীনে মুনমুন দত্তের আগাম জামিনের আবেদন ২৮ জানুয়ারি বিশেষ আদালত প্রত্যাখ্যান করে। এরপরে আগাম জামিনের জন্য পঞ্জাব- হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব- হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক অবনীশ ঝিংগান, মুনমুন দত্তকে হাঁসিতে তদন্তকারী অফিসারের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলেন।
সম্পূর্ণ ঘটনাটি কী?
গত বছর ৯ জানুয়ারি, মুনমুন দত্ত একটি ভিডিওতে তফসিলি জাতি-সমাজের বিরুদ্ধে অশালীন এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরে রজত কলসান নামে এক ব্যক্তি গত ১৩ মে, মুনমুন দত্তের বিরুদ্ধে SC-ST আইনে অভিযোগ দায়ের করেন, হাঁসি থানায়। অভিযোগকারী বলেন যে, SC-ST আইনে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কোনও সুযোগ নেই।
ডিএসপি বিনোদ শঙ্কর জানান, মুনমুন দত্ত তদন্তে সহযোগিতা করতে হাঁসিতে এসেছিলেন, তিনি হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে পেয়েছেন।