টিআরপি -র হাড্ডাহাড্ডা লড়ায়ে প্রতিটা ধারাবাহিকেই বিশেষ কিছু পর্বের মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা চলছে। জনপ্রিয় মেগা 'দেশের মাটি' (Desher Mati) -তে চলছে টানটান পর্ব। এই মুহূর্তে দর্শকদের খুবই কাছের ওঠে উঠেছে 'রাজা- মাম্পি' জুটি, যেই চরিত্রে অভিনয় করছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Banerjee) এবং রুকমা রায় (Rooqma Roy)। সিরিয়ালে চলছে তাঁদের 'ফুলশয্যা'-র বিশেষ পর্ব।
'রাম্পি' জুটি ছোট পর্দায় একেবারে হিট। বহু অশান্তি, লড়াই, সমস্যা কাটিয়ে শেষমেশ একের অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তাঁরা। মিথ্যে অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজা। আর তারপরই ঘুরে যায় সিরিয়ালের মোড়। সাত পাঁকে বাধা পড়ে বউভাতের অনুষ্ঠান হয় বাড়িতে। আর তারপরই আয়োজন হয় তাঁদের ফুলশয্যার।
খাট সাজানো হয়েছে রজনীগন্ধা, গাঁদা, গোলাপে। খোঁপায় জুঁইয়ের মালা, শাড়ি, গয়না, সিঁথি ভর্তি সিঁদুরে সেজেছে মাম্পি। অন্যদিকে রাজার পরনে ধুতি ও গলাবন্ধ পঞ্জাবি। একে অপরকে আংটি পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, এতদিনের জমে থাকা অভিমান, শেয়ার করে এই নব দম্পতি। দু'জনের চোখে- মুখে বিজয়ী হওয়ার ঝলক, স্বস্তি। মন ভরে একে অপরকে দেখছে তাঁরা... কিছু মুহূর্তের জন্যে যেন রিল না রিয়েল তা গুলিয়ে যায় দর্শকদের।
যদিও সকলের সামনে আর আপত্তি না থাকার কথা বললেও, এখন পর্যন্ত রাজাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি মাম্পির বাবা- মা। তাঁদের কথায়, মেয়ের জামাই হিসাবে রাজাকে পরিচয় দিতে পারবে না তাঁরা। সেই সঙ্গে নীলপাখির রাজার প্রতি অনুভূতি যেন ক্রমে আরও বাড়ছে। সে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না এই বিয়েটা। রাজা তাঁকে ছোট বোনের মতো দেখলেও, মাম্পি এই বিষয়ে টের পাচ্ছে ধীরে ধীরে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের অন্য চরিত্রকে কটাক্ষ করার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার হন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, "অনেকদিন অনেক কিছু সহ্য করছি, কিন্তু রাজা-মাম্পিকে ভালোবাসার অর্থ যদি হয় আমার সহ অভিনেতা/ অভিনেত্রীদের অপমান করা...রক্ষে করুন,চাই না এমন ভালোবাসা…"।
পরে সেই গ্রুপের নাম উল্লেখ করেও রাহুল জানিয়েছেন, এটা শুরু মাত্র তাঁদের উদ্দেশ্যে করা। বাকি ফ্যানেদের জন্য তাঁর ভালোবাসা অটুট রয়েছে। এমনকি ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে লাইভে এসেও 'রাম্পি' বিষয়টি খুলে বলেন ফ্যানদের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বহু বার মিম, ট্রোল, কটাক্ষের স্বীকার হয়েছেন 'দেশের মাটি'-র নোয়া ওরফে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। "আপনাকে মানায় না মুখ্য চরিত্রে", "রাজা -মাম্পিকেই বেশি দেখানো হোক, "কালো মেয়ে..." ইত্যাদি বহু কমেন্ট দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শ্রুতিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে ধারাবাহিক থেকে বাদ দেওয়ার দাবী জানিয়েছিলেন এক নেটাগরিক। যার জেরে আইনি পথে হেঁটেছিলেন অভিনেত্রী। দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় (Kolkata Police Cyber Cell)।