ধারবাহিকের ট্যাগলাইন 'সুখে-দুখে মিষ্টি মুখে মিঠাই' (Mithai) হলেও গত কয়েকদিন ধরে উচ্ছেবাবু ও তার তুফানমেইলের রিয়েল লাইফের রসায়ন মোটেও ভাল না। আর এর নেপথ্যে নাকি রয়েছেন একজন তৃতীয় ব্যক্তি। ধারাবাহিকে সিডের 'দিদিয়া' অর্থাৎ অভিনেত্রী কৌশম্বী চক্রবর্তীর (Kaushambi Chakraborty) সঙ্গে বন্ধুত্ব বিশেষ হওয়ার জেরেই নাকি সৌমিতৃষা কুণ্ডুর (Soumitrisha Kundoo) সঙ্গে সমস্যা হয় আদৃত রায়ের (Adrit Roy)। যদিও এবিষয় এখনও পর্যন্ত কেউই সরাসরি মুখ খোলেননি। এর আগে নিজেরদের ঝগড়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সৌমিতৃষা। এবার এবিষয়ে উত্তর দিলেন আদৃত।
সৌমিতৃষার সঙ্গে তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা, এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে আদৃত বললেন, "দর্শকেরা শো-টা দেখছে, সেটাই এনজয় করুক সবাই। আর ব্যক্তিগত জীবনে কার সঙ্গে কার কী সম্পর্ক, কে কত বন্ধু এসব থাক... আমি অনেক সময় অনেক পেজে দেখি বোকা বোকা জিনিস লেখা হয়। যার মধ্যে কিছু মানুষ কোনও কারণ বা প্রয়োজন ছাড়াই কমেন্ট করেন। আগে আমি যখন 'নুরজাহান' করতাম, তখন এইসব কমেন্ট পড়তাম। আমার যখন প্রথম মিউজিক ভিডিও সামনে আসে, কেউ ভাল, কেউ খারাপ কমেন্ট করেন। অনেকে আছে গঠনমূলক সমালোচনাও করেন, সেসব ঠিক আছে। কিন্তু কিছু মানুষ অকারণেই চাইতেন আমি মরে যাই।"
অভিনেতা আরও বলেন, "আমি তারপরই বুঝতে পারি এই সমস্ত কমেন্ট থেকে যত দূর থাকতে পারব সেটাই ভাল। 'মিঠাই' করার আগেও, আমি যত ছবি বা কাজ করেছি, কমেন্ট পড়া ছেড়ে দিয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা জায়গা যেখানে, সবার অধিকার এবং ক্ষমতা থাকে যা খুশি লেখার। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চায়, একটা ফেক প্রোফাইল বানিয়ে আমার সম্বন্ধে বলে দিল... কার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেব তাহলে? যাদের প্রোফাইল ফটোতে গোলাপ কিংবা হৃত্বিক রোশনের ছবি আছে? এই সমস্ত মানুষ আমার জন্য ম্যাটার করে না।"
আদৃত যোগ করলেন, "আমাদের কাজটা হল, এখানে এসে ভাল ভাল চরিত্রগুলি ফুটিয়ে তোলা, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা। একটা চ্যানেলের ভরসা আছে আমাদের উপর। আমরা এতজন কলাকুশলী একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি, একে অপরকে বুঝি। আমি- সৌমিতৃষা বা আমি -উদয়, আমরা সকলে একে অপরের খুব কাছের। তার মধ্যে যদি কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়, আমরা নিজেরা সেটার সমাধান করি। সেখানে বাইরের লোকেরা মন্তব্য করা শুরু করলে, আমি জানি না কী বলা উচিত।"
সৌমিতৃষা কুণ্ডু ও আদৃত রায়, যারা কিনা এত ভাল বন্ধু ছিলেন, তাঁদের মধ্যে হঠাৎ এরকম পরিস্থিতি কেন? যদিও সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকের সামনে মুখ খোলেন সৌমিতৃষা। যার জেরেই জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। পর্দার মিঠাই বলেন, "যদি কথা বন্ধও থাকে, আপনাদের কি সিনে কোনও সমস্যা হচ্ছে? আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আছে, কাজের জীবন আছে। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। যদি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সমস্যা হয়, আর সেটার প্রভাব কাজের জায়গায় না পড়ে, তাহলে কারও কোনও সমস্যা হওয়া উচিত না।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সব সময় খুব হাসি। এখন মুখটা একটু অন্যরকম করে বসে থাকলেই সবাই এসে প্রশ্ন করছে, আমার কি মন খারাপ? সেটে মন খারাপ হওয়ার অবকাশ নেই, সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল। আদৃত আমার থেকে অনেকটা বড়। তবু একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা খুনসুটি করি, দু'জনে- দু'জনের পিছনে লাগি... আমার মনে হয় এই বিষয়টা বন্ধ করা উচিত এবং এটা নিয়ে জলঘলা করা উচিত না। সিড -মিঠাইয়ের মধ্যে সিনে হয়তো দূরত্ব বেড়েছে, কিন্তু আমরা বিন্দাস আছি। আমি তো জানি, আমি আমার দিক থেকে ঠিক থাকলে এসব নিয়ে কথা বলার সময় আমার অন্তত নেই। আমি আর আদৃত প্রথম থেকেই ভাল বন্ধু। কখনও ঝগড়া হলে মান -অভিমান হতেই পারে। সবাই জানে আমরা খুব ঝগড়া করি। তবে তার মানে এটা না যে, কথা হবে না। ঝগড়া হয় আবার মিটেও যায়...।"