টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠেন তাঁদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। সেরকমই বলা যায়, বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছেন 'মিঠাই' (Mithai)। পর পর পনেরো সপ্তাহ জি বাংলার 'মিঠাই'-র মাথায়ই উঠেছে সেরার শিরোপা। চলতি সপ্তাহের রেটিং চার্টেও ১ নম্বরে এই মেগা। দর্শকদের ভালোবাসায় আপ্লুত 'মিঠাই' ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundoo) আজতক বাংলার (Aajtak Bangla) সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর অনুভূতি।
সৌমিতৃষা জানালেন, "ভীষণ ভাল লাগছে। মাঝে লকডাউন থাকার জন্য প্রতিটা ধারাবাহিকের টিআরপি কমছিল। কিন্তু সকলেই পরিশ্রম করছিলাম আমরা। প্রত্যেকটা সিরিয়ালের যত আর্টিস্ট আছে, সকলে বাড়ি থেকেই চেষ্টা করছিল, কীভাবে দর্শকদের বিনোদন করা যায়। সেখানে এখন টিআরপি বাড়ছে, তার মানে দর্শকেরা যারা মাঝে দেখছিলেন না, তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন। সেই জন্য খুবই ভাল লাগছে।"
বারবার সেরা হওয়ায় হারানোর ভয় কতটা বেশী থাকে? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বললেন," মনে তো একটা চলেই যে মানুষ যে ভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন, সেটা বজায় রাখতে হবে। লকডাউনের জন্য ভাল ভাবে শ্যুট করতে পারছিলাম না কেউই। কিন্তু দেখলাম যে সকলের ভালোবাসা রয়েছে আমাদের জন্য।"
কেন এতটা পছন্দ করছেন দর্শকেরা 'মিঠাই'? সৌমিতৃষার কথায়, "(হেসে) সুখে দুখে মিষ্টি মুখে মানুষের পাশে থাকার জন্য!" তিনি আরও যোগ করে বললেন, "মিঠাইয়ের ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে, অথচ শ্বশুরবাড়ির সকলে তাঁরই পক্ষে। এমনকি আদালতেও তাঁর হয়েই সকলে যাচ্ছেন, বাড়ির ছেলের পক্ষে না হয়ে। সেই সঙ্গে সিদ্ধার্থ ও মিঠাইয়ের জুটিটাও দর্শকেরা খুব পছন্দ করছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে। প্রতি চরিত্রের একে অপরের সঙ্গে এই বন্ডিং, যৌথ পরিবারের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সম্পর্কের সমীকরণ প্রতিটা দৃশ্যে যে ভাবে তুলা ধরা হয়েছে, সেটাও খুব আলাদা। এছাড়া আমার মনে হয় মিঠাইয়ের এতটা আত্মসম্মান, সবটা মিলিয়ে দর্শকেরা পছন্দ করছেন।"
মিঠাই - সিদ্ধার্থের ডিভোর্স কেসের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? শেষমেশ কি মনোহরার মতোই মিষ্টি সম্পর্ক হবে সিড ও মিঠাইয়ের? নাকি এরকম টক -ঝাল -মিষ্টি রসায়নে আরও মজবুত হবে তাঁদের বন্ডিং? এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে আজতক বাংলাকে দেননি পর্দার মিঠাই। তবে এই ধারাবাহিক যে এক নতুন মাইলফলক ছুঁতে চলেছে বাংলা বিনোদন জগতে, তার প্রমাণ দিচ্ছে প্রতি সপ্তাহের গ্রাফ।