করোনা অতিমারীর জন্য বিনোদন জগতে (Entertainment) বিপুল প্রভাব পড়েছিল। এদিকে পাইপলাইনে রয়েছে এতগুলি ছবি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই একে একে মুক্তি পাচ্ছে স্থগিত থাকা ছবি (Movies)।
আগের থেকে অনেকটাই বেশি হলমুখী হচ্ছেন দর্শকেরা। এপ্রিল মাসেই ঈদের (Eid 2022) আগে একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে দুই বড় বাংলা ছবি। জোরদার টক্কর দুই টলিউড সুপারস্টারের (Tollywood Superstars)। একদিকে দেব (Dev) ও অন্যদিকে জিৎ (Jeet), নেটপাড়ায় দু'জনের ফ্যানেদের মধ্যেও চলছে রেষারেষি।
দেব -রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'কিশমিশ' (Kishmish) মুক্তি পাবে ২৯ এপ্রিল। ছবিতে তিনটি ভূমিকায় দেখা যাবে সুপারস্টার দেবকে। রুক্মিণীরও রয়েছে বিভিন্ন বয়সের লুক। ছবির ট্রেলার থেকে গান, দুটোয় দারুণ জনপ্রিয় ইতিমধ্যে।
দেব এন্টারটেইনমেন্টস ভেঞ্চারসের (Dev Entertainment Ventures) প্রযোজনায় আসছে 'কিশমিশ'। প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির ট্রেলারের, ইউটিউবে (১২ এপ্রিল বিকেল অবধি) ৭,০০,০০০ ভিউ হয়েছে।
জিৎ ও নবাগতা লহমা ভট্টাচার্য জুটি বেঁধেছেন, এমএন রাজ পরিচালিত 'রাবণ' (Raavan) ছবিতে। এই ছবিটিও মুক্তি পাবে আগামী ২৯ এপ্রিল। লাল চোখ, ভ্রুর মাঝে কাটা দাগ, কুটিল হাসি, সব মিলিয়ে একেবারে নয়া লুকে দেখা গেছে জিতকে। তবে দর্শকদের তিনি দ্বন্দ্বে ফেলেছেন, কখনও রাম আবার কখনও রাবণ বেশে।
জিৎ, গোপাল মদনানি এবং অমিত জুমরানির প্রযোজনায় আসছে 'রাবণ'। এই অ্যাকশনধর্মী ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে দিন দুয়েক আগে। ইউটিউবে ইতিমধ্যে (১২ এপ্রিল বিকেল অবধি) ১১,০০,০০০ ভিউ হয়েছে এই ছবির ট্রেলারের।
গত দুর্গা পুজোর আগেও একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল দেব ও জিতের ছবি - 'গোলন্দাজ' (Golondaaj) ও 'বাজি' (Baazi)। যদিও সেই সময় 'গোলন্দাজ' বক্স অফিসে দারুণ গোল দিলেও, 'বাজি' তুলনামূলক কম সফল হয়। এবারও দুই ছবি মুক্তির পড়ে, মে মাসের শুরুতেই আছে ঈদ। এত বড় উৎসবের আগে মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবির মধ্যে দর্শকেরা কাকে বেশি আপন করবে, তা সময়ই বলবে।
একই সঙ্গে একাধিক ছবি মুক্তিতে কি ইন্ডাস্ট্রির লাভ না ক্ষতি হচ্ছে? আগে এই প্রশ্নের উত্তরে আজতক বাংলাকে দেব বলেছিলেন, "এই প্রতিযোগিতা থেকে গত তিন -চার বছর ধরে আমি নিজেকে আলাদা করে নিয়েছি। আমি যে ধরণের কাজ করছি, অন্য কারও সঙ্গে কোনও মিল নেই। আমার চেষ্টা থাকে বাংলায় যেই গল্পগুলো আগে বলা হয়নি, কেউ সাহস করেনি, সেই গল্পগুলি মানুষের সামনে তুলা ধরা।"
একই প্রশ্নের উত্তরে জিৎ জানিয়েছিলেন, "অবশ্যই প্রভাব পড়বে একসঙ্গে এতগুলো ছবি মুক্তির। তবে সেটা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি এবং বিকাশ ঘটাবে বলে আমার মনে হয়।"