প্রেমের খবর চাউর হতেই বিতর্ক- আলোচনা শুরু হয়। যা, বহুগুণ বেড়ে যায় তাঁদের বিয়ের পর। নিন্দুকদের অনেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁদের। কথা হচ্ছে এই মুহূর্তের আলোচিত জুটি দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha) ও ঐন্দ্রিলা সেনকে (Oindrila Sen) নিয়ে। প্রেমিকা মোহরের সঙ্গে গত ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন গায়ক। দুর্নিবারের বর্তমান স্ত্রী, বিনোদনের জগতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী- মোহরকে (Mohor) বিয়ে করেছেন দুর্নিবার। ট্রোলিংকে পাত্তা না দিয়ে, 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউট' রেখেছেন দু'জনেই। সংবাদমাধ্যমকে দুর্নিবার বলেন, "এই বিষয়ে কী বলব আমরা? আমরা দু’জনে ভাল থাকি, এটাই তো একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত। এর থেকে বেশি আর কী চাওয়ার থাকে? তবে এটা আমি স্পষ্ট বলতে চাই যে হ্যাঁ, আমরা সমাজের হেনস্থার শিকার। তা বলে আমাদের দুর্বল ভাবলে ভুল হবে। আমরা জানি এমন পরিস্থিতিকে কী ভাবে সামাল দিতে হয়।"
এত বিতর্কের মাঝেই বিদেশে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা করছেন নবদম্পতি। যদিও ডেস্টিনেশন এই মুহূর্তে সিক্রেট রাখতে চান তাঁরা। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিদেশের এক নির্জন দ্বীপেই একান্তে কোয়ালিটি সময় কাটাতে চান জুটি।
বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেছেন দুর্নিবার। নব বিবাহিত স্ত্রীয়ের গালে চুমু এঁকে দিচ্ছেন শিল্পী। ক্যাপশনে লিখেছেন, "যখন আমরা সমস্ত আলোর দিকে আমাদের জীবন একত্রে কাটাব, তখন বিশ্বের কিছু নেতিবাচক মানুষ উঁকি মেরে তাঁদের বোকাবোকা মতামত জানায়...।"
অন্যদিকে ঐন্দ্রিলা রিসেপশনের কিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, "তোমার চোখের আদিম নিলাম দিলাম তোমায় রাইকমল, উড়ালসেতু ভুলিয়ে দিল, একলা থাকা রাতমহল...।" এই দুই পোস্টে একদিকে যেমন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সেরকম কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নিন্দুকরা।
বারবার ট্রোলড হওয়া নিয়ে এর আগে সংবাদমাধ্যমকে দুর্নিবার জানালেন, "শকুনের অভিশাপে গরু মরে না। যারা আমাদের শুভাকাঙ্খী তাদের অনেক অনেক হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা। তাদের পাশে থাকায় আমাদের মনের জোরও অনেকটাই বাড়ছে। কে কী বলছে বা না বলছে তাদের কাউকেই আমরা ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। আর অচেনা লোকজনের কথায় খুব একটা পাত্তাও দিই না।"
তিনি আরও বলেন, "যে কয়েকজন মানুষ এটা ফেস করছেন তারা এটা খুব ভাল করেই জানেন। আমরা যারা সুস্থভাবে বাঁচতে চাই তারা সব সময় চেষ্টা করি ভাল দিকটা সঙ্গে নিয়ে জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তবে সবাই তো সেটা চাইবে না। এরকম মানুষের সংখ্যাটা আসলে খুব কম। যেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"