বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। এই মুহূর্তে তিনি 'গুনগুন' নামেই বেশি পরিচিত দর্শক মহলে। এর আগে ছবিতে কাজ করলেও, মুখ্য চরিত্রে অভিনয় এই প্রথম। সৌজন্যে, অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) নতুন ছবি 'ইস্কাবনের বিবি' (Iskaboner Bibi)। থ্রিলারধর্মী (Thriller) এই ছবিতে তৃণা ছাড়াও, অন্য একটি মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অরুণিমা ঘোষ (Arunima Ghosh)। পীযূষ সাহের গল্প অবলম্বনে তৈরি হবে এই নতুন ছবি। বৃহস্পতিবার ছবির শুভ মহরৎ এবং আগামী এপ্রিল থেকেই শুরু হবে শ্যুটিং।
আজতক বাংলাকে নিজের চরিত্র নিয়ে তৃণা জানালেন, "সত্যি কথা বলতে এখনও আমি পুরোটা জানি না। এত তাড়াতাড়ি হয়েছে গোটা ব্যাপারটা। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও চরিত্র করিনি। এখন আমায় গুনগুনের চরিত্রে সকলে দেখছেন যে, মেয়েটা প্রাণোচ্ছল, মজা করতে ভালোবাসে। কিছু এই চরিত্রটা একেবারে উল্টো। ছবিটা মূলত দুটো মেয়ের গল্প। ক্রাইম থ্রিলার, তাই পুরোটাই খুব সিরিয়াস একটা চরিত্র। একটা ক্রাইসিসে পড়ে মেয়েটা কীভাবে তা থেকে বেরিয়ে আসে, তা নিয়েই গল্প।"
'খড়কুটো' (Khorkuto)-র গুনগুন দর্শকদের মনের অনেক কাছের। কীভাবে আলাদা হয়ে উঠবেন তিনি? তৃণার উত্তর, "এই চরিত্রটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। দর্শকদের ভালোবাসা ছিল বলেই, আমি এত বছর কাজ করতে পারছি। তাঁরা আমায় সব সময় সাপোর্ট করেছেন। দর্শকরাই চেয়েছেন আমি বড় পর্দায় কাজ করি। তাই হয়তো আজ আমি এখানে। আশা করি সবটা ভাল হবে। আমি খুবই পজিটিভ সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে।"
বড় পর্দার প্রথম বড় কাজই অরিন্দম শীলের মতো প্রথম সারির পরিচালকের হাত ধরে। তাই উৎসাহ আরও বহুগুণ বেড়েছে তৃণার। তাঁর কথায়, "সকলের যেমন একটা 'বাকেট লিস্ট' থাকে, আমারও সেরকম ছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমি অরিন্দম দা-এর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। আর শুরুতেই যে তিনিই আমার পরিচালক হবেন, তা ভাবতে পারিনি। খুবই ভাল লাগছে, দারুণ এক্সাইটেড আমি।"
বড় পর্দাতে পা রাখলেও, ছোট পর্দাতে সমান তালে অভিনয় করবেন পর্দার 'গুনগুন'। অভিনেত্রী জানালেন, "আমি কখনই বলব না যে, ছোট পর্দা ছেড়ে দেব, বড় পর্দাতেই কাজ করব। আমার জন্য অভিনয়টাই আসল কথা। যেখানে ভাল কাজ হবে বা আমার জন্যে ভাল কাজ থাকবে, সেখানে আমি সব সময় থাকতে রাজি আছি।"
অন্যদিকে টেলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে 'খড়কুটো'। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, "এটা চ্যানেল ও প্রযোজক বলবেন। তবে হ্যাঁ, প্রতিটা গল্পেরই একটা শেষ আছে। 'খড়কুটো'-ও শেষ হবে। তবে সেটা ঠিক কবে, কীভাবে, তা জানার জন্য ধারাবাহিকটা দেখতে হবে (হেসে)।"