Corona Third Wave: ওমিক্রন (Omicron) পরিস্থিতি নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনাভাইরাস (Coronavirus)-এর নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তাই আগেভাগেই সতর্ক রাজ্য।
সংক্রমণের হার বেশি
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওমিক্রন (Omicron)-এর সংক্রমণের হার অনেক বেশি। আর তাই চিন্তা বেশি। কারণ আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়লে চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা দেখা দেবে। যেমন হয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়।
স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোজ বৈঠক করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department)। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এবং কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, সরকারি হাসপাতালে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে।
বাড়াতে হবে টেস্ট
দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সরকারি হাসপতালে তুলনামূলক কম পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই পরীক্ষার সংখ্য়া বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (WB Health Department)-এর তরফে। সেইসঙ্গে র্যাপিড টেস্টের বদলে আরটিপিসিআর (RT-PCR)-এ জোর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্য়াও বাড়ছে বলে দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে।
প্রচুর বাড়তে পারে দৈনিক সংক্রমণ
আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ অল্প সময়ের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যে। তখন দৈনিক করোনাভাইরাস (Coronavirus)-এ আক্রান্তের সংখ্য়া ৩০-৩৫ হাজার ছঁতে পারে। সেই পরিস্থিতি যাতে মোবাকিলা করা যায়, তাই সে ব্য়াপারে সতর্ক রাজ্য। গত কয়েকদিনে রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন থেকে তেমনই পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হবু স্ত্রীর স্তন-কোমরের মাপ জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপন, বিতর্ক তুঙ্গে
বড়দিনের ভিড় থেকে শিক্ষা?
চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দিয়েছিলেন, বড়দিনে যাতে ভিড়ভাট্টা না হয়। তবে তা করা যায়নি। সামনে ইংরেজি বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণ আসছে। সে সময় যাতে জমায়েত ঠেকানো যায়, তার উদ্য়োগ নিতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
মানতে হবে করোনা-বিধি
জেলাগুলো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা-বিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোয়া নিয়ে মানুষকে আবার সতর্ক করতে হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে শিথীলতা রয়েছে। তা দূর করতে লাগাতার প্রচার করতে হবে।
করোনার টিকা নিয়ে অনীহা
টিকা (COVID Vaccine) নিয়েও একাংশের মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। কারণ তাঁদের কারও কারও বক্তব্য, টিকা নেওয়ার পরও তো সংক্রমণ হচ্ছে। তা হলে টিকা নেব কেন? এ ব্যাপারে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টিকা দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানো যায় না, তা অনেকটাই ঠিক। তবে টিকা নেওয়া থাকলে মৃত্য়ুহার অনেকটাই কমানো যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় সে কথাই উঠে এসেছে। তাই টিকা নেওয়া দরকার।
৪ পুরসভায় ভোট
বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরসভায় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে প্রচার। এ নিয়েও সিঁদূরে মেঘ দেখছেন অনেকে চিকিৎসক। কারণ জমায়েত, ভিড়ভাট্টা মানেই সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া।