Advertisement

প্রায় ৫০০ বছর আগেও গঙ্গায় ভাসতো লাশ, আজও ভাসছে!

গবেষণার মান বিরাট উচ্চতায় পৌঁছেছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু রহস্যজনক করোনা ভাইরাসের অতিমারি যেন ফিরিয়ে দিল ৫০০ বছর আগেকার সেই ভয়াবহতাই। যার নির্যাস, গঙ্গায় লাশের পর লাশ ভাসার ঘটনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

ছবি: গেটি ইমেজ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 May 2021,
  • अपडेटेड 2:28 PM IST
  • অতিমারি ও গঙ্গায় লাশ
  • ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
  • মহামারির ভয়াবহতা একই রয়েছে

অতিমারির ভয়াবহতার দৃশ্যগুলি প্রায় ৫০০ বছর আগেও যা ছিল, এখনও তা-ই আছে বললে অত্যুক্তি হয় না। এ কথা ঠিক, চিকিত্‍সা বিজ্ঞানের বিপুল উন্নতি হয়েছে। গবেষণার মান বিরাট উচ্চতায় পৌঁছেছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু রহস্যজনক করোনা ভাইরাসের অতিমারি যেন ফিরিয়ে দিল ৫০০ বছর আগেকার সেই ভয়াবহতাই। যার নির্যাস, গঙ্গায় লাশের পর লাশ ভাসার ঘটনা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নাকি 'বিষ-তরল'! মহামারি সামলাতে ব্রিটিশরা হিমশিম খেত 

আরও পড়ুন: Coronavirus: অতিমারির 'ঢেউ' কী? একটি ফ্যাক্টরে পরের ঢেউয়ের আন্দাজ মেলে! 

অতিমারি ও গঙ্গায় লাশ

সম্প্রতি একটি খবর আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। উত্তরপ্রদেশে, বিহারে গঙ্গায় সারি সারি লাশ ভেসে আসছে। নদীর পাড়ে এসে ঠেকছে বেওয়ারিশ লাশগুলি। বিহারের বক্সারে, উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে, শয়ে শয়ে লাশ দেখা গিয়েছে নদীতে। বক্সারের নদীর পাড়ে প্রায় শতাধিক মৃতদেহ ভেসে আসায় শোরগোল পড়েছিল। স্রোতের দিক বিচার করে বক্সার প্রশাসনের অনুমান ছিল দেহগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকেই এসেছে। গাজীপুরেও একইভাবে মৃতদেহ ভেসে ওঠার ঘটনা।

গেটি ইমেজ

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

মহামারির সময়ে নদীতে লাশ ভেসে ওঠার ঘটনা নতুন নয়। বরং সুপ্রাচীন। ১৫৭৩ সালে বাংলায় আফগান সুলতানদের শাসন ছিল। তখন গৌড়ে প্লেগের প্রকোপ শুরু হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছিল। ওতো দেহের সত্‍কার করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। শেষটায় হিন্দু, মুসলমান-- সব দেহই ভাগীরথী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার প্রথা শুরু হয়। 

গেটি ইমেজ

১৮৯৬-এর প্রথমদিকে বম্বেতে প্লেগ শুরু হয়। দ্রুত মহামারী আকারে কলকাতা ও আশপাশের অঞ্চলেও তা ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের জন্য ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। ডাক্তাররা বুঝতে পারছিলেন না, কী ভাবে সামলাবেন। ঠিক যেমন বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে হাতড়ে সমাধান খুঁজে চলেছেন ডাক্তাররা। ইংরেজ সরকার এইচ এইচ রিজলির নেতৃত্বে একটি বোর্ড গঠন করেন প্লেগ সামাল দেওয়ার জন্য। সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কথা বলা হয়। শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার বিশেষ ব্যবস্থা।

Advertisement

১৮৯৮ সালে প্লেগ ভয়াবহ আকার নেয় কলকাতা সহ গোটা বাংলায়। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছিল বেশি। করোনার ক্ষেত্রেও একই ফলাফল দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, কড়া ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সক্ষম হয়েছিল ইংরেজরা। প্লেগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। 

গেটি ইমেজ

মহামারির ভয়াবহতা একই রয়েছে

সুদূর অতীতে মহামারির যে ভয়াবহতা দেখেছে বাংলা বা ভারত, বর্তমানে করোনার ক্ষেত্রেও একই রকম ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে। গঙ্গা, ভাগীরথীতে লাশ তখনও ভাসত। আজও ভাসছে। বিজ্ঞানীরা লড়াই করে চলেছেন। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement