একেই বলে লেডি কিলার ক্রিমিনাল। এক আধজনকে নয়, ৭৫ জনকে বিয়ে করেছে। আবার ২০০ জন মেয়েকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বিয়ে করব বলে। বিয়ে করেনি তাদের। বেচে দিয়েছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার হয় মুনির নামের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচারের অভিযোগ ছিল। আর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু, গ্রেফতার করার পর মুনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা যা জানতে পারেন তাতে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। মুনির জেরায় জানিয়েছে, সে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জনকে বিয়ে করেছে। বিয়ের টোপ দিয়ে ২০০ জনকে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ থেকে।
প্রতিমাসে মাসে মেয়েদের পাচারের জন্য বাংলাদেশ থেকে এই দেশে নিয়ে আসত সে। কাউকে দিত বিয়ের টোপ আবার কাউকে দেখাত মোটা টাকার লোভ।
মুনির জেরায় জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত পেরিয়ে বা জলপথে সে মহিলাদের ভারতে নিয়ে আসত। তারপর সেখান থেকে পৌঁছে যেত গন্তব্যে।
মুনিরের বাড়ি বাংলাদেশের যশোরে। সে জেরায় জানিয়েছে, গত ৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের টোপ দিয়ে ভারতে আনত।
তার প্রথম গন্তব্য হত কলকাতা, তারপর মুম্বই। এই দুই জায়গায় মেয়েদের ট্রেনিং হত। ততদিনে মেয়েরা বুঝে যেত তাদের ফাঁসিয়েছে মুনির।
এভাবেই প্রায় ২০০ জনকে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে মুনির। ইন্দোর পুলিশ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হত ওই বাংলাদেশি মেয়েদের।
মুনিরের নামে ১০ হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল ইন্দোর পুলিশ।