প্রথমে ফেসবুকে আলাপ। সেখান থেকে বন্ধুত্ব। পরে ফ্ল্যাটে ডেকে ঘনিষ্ঠতা। সেই সবের ফাঁদে পা দিয়ে লাখ লাখ প্রতারিত হয়েছেন, সম্প্রতি এমন খবর আসতে থাকে পুলিশের। শেষে হানা দিয়ে পর্দা ফাঁস করল এমনই এক মধুচক্রের। (সব ছবি প্রতীকী)
দিল্লির পশ্চিম বিহার এলাকায় সম্প্রতি এক ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।
পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, কয়েকদিন তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। টাকা না দিলে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করা হবে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা পশ্চিম বিহার এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকে। সেখানে থেকেই এই ব়্যাকেট চলছে।
পরে ওই চক্রের মূল পাণ্ডা নীরজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে জেরা করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।
পুলিশের কাছে নীরজ বলে, তাদের দলে মেয়েও রয়েছে। প্রথমে ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ জমায়।
তারপরে ঘনিষ্ঠতার জন্য ফ্ল্যাটের মধ্যে জেকে নিয়ে আসে তাদের। সেই সময়ে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করা হত সেই সব ব্যক্তিদের।
দাবি না মানলে ছবি ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হত। আপাতত পুলিশ জানতে পেরেছে এই দলে মোট ৫ জন রয়েছে।
লকডাউনের পরে এই চক্র সক্রিয় হয়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ জনকে নিশানা করেছে তারা।
ব্ল্যাকমেলিংয়ের পরে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হত। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।