সম্প্রতি কানপুর থেকে তন্ত্র-মন্ত্র সাধনা নিয়ে একাধিক ঘটনা উঠে আসছে। অনেক মহিলাই এইসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে এই ধরনের কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেন। মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার সন্ধান পেল পুলিশ। সন্তান ধারণ করতে না পারা কিংবা প্রেমে বশীকরণ করতে এই তন্ত্রমন্ত্র করে থাকেন অনেকে।
এমনই এক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। যেখানে মানুষের খুলি দিয়ে তন্ত্রসাধনা করেন গীতা দেবী। চার বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন তিনি। প্রেমিককে ফেরাতে তাই এ পন্থা অবলম্বন করে আসছিলেন তিনি। তবে কাজ না হওয়াতে ব্যবহৃত সেই সব নরমুণ্ড ফেলে দেন তিনি বাড়ির পাশের আবর্জনাতে।
সোমবার এলাকার লোকেরা চারটি নরমুণ্ডকে একসঙ্গে পড়ে থাকতে দেখে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে কানপুরে ঘাটামপুরে একটি নাবালিকাকে খুন করে তার খাবার নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ফলে এই ঘটনায় পুলিশও চিন্তায় পড়ে যায়।
পুলিশ যখন ওই এলাকায় তদন্ত করেছিল, তখন এলাকায় গীতা দেবীর তন্ত্র চর্চার কথা জানতে পারে। পুলিশ বলছে, গীতা তাঁর প্রেমিককে বশ করার জন্য চারটি নরমুণ্ডের সঙ্গে তন্ত্রচর্চা করত।
গীতা পানকির কাশীরাম কলোনীতে থাকেন। তার স্বামী মোহন মারা গিয়েছিল। এর পর তিনি অশোকের প্রেমে পড়েন এবং তার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু চার বছর আগে অশোক আরেকটি মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। সেই থেকে গীতা অশোককে পাওয়ার জন্যই এই সব তন্ত্র চর্চা করতেন।
পুলিশ জানতে পারে, এই কারণে, তিনি রাম মনোহরের সঙ্গে দেখা করে তাই পাঁচ হাজারে চারটি মৃত মানুষের মাথার খুলি কেনেন। রাম মনোহর বলেন যে বালির খনিতে তিনি চারটি নরমুণ্ড পেয়েছিলেন। তন্ত্র-মন্ত্রের নাটক দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করার জন্য সেই মুণ্ড তিনি উদ্ধার করেন। ।
তবে রাম মনোহর নিজে এইসব কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেননি। তাই গীতার কাছে বিক্রি করে, এমনটাই জানান পুলিশ। গীতা গোপনভাবে এই সব খুলি দিয়েই তন্ত্র সাধনা করতেন।