উত্তরপ্রদেশের কানপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মহিলার বুকের ওপর চড়ে বসলেন দারোগা। ঘটনার ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে অভিযুক্ত দারোগার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ এসএসপি-র।
ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের লখিমপুরের দুর্গদাসপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, একটি মামলার প্রেক্ষিতে ৪ জন কনস্টেবলকে নিয়ে সুরজিত যাদব নামে একজনের খোঁজে গ্রামে যান পুখরায়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মহেন্দ্র পটেল। সেই সময় পুলিশ দলে কোনও মহিলা কনস্টেবল ছিলেন না বলেই জানা যাচ্ছে
গ্রামে শিবম নামে এক যুবককে সুরজিতের বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ, শিবম ঠিকানা না বলায় গালিগালাজ শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা। এমনকী ওই যুবককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পালটা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন শিবমের বাড়ির সদস্য
তাতে রেগে গিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ শিবমকে আরও মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় শিবমের বাড়ির এক মহিলা সদস্য তাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এরপর পরিবারের আরও এক মহিলা সদস্য বাধা দিতে গেলে দারোগা তাঁকে মাটিতে ফেলে তাঁর বুকের ওপর চড়ে বসে
ঘটনার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে পড়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে কেন পুলিশের দলে মহিলা কনস্টেবল ছিলেন না? এদিকে এই ধস্তাধস্তির সময় মহিলাও নিজের জুতো দিয়ে দারোগাকে মারার চেষ্টা করেন।
ঘটনায় এসএসপি কেশব চৌধুরী জানান, পুখরায়া ফাঁড়ির পুলিশ গ্রামে একজন অভিযুক্তকে ধরতে গিয়েছিল। সেইসময় এক যুবক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। তারপর তার বাড়ির মহিলাদের সঙ্গেও মারমারি হয়।
তবে মহিলার বুকের ওপর ফাঁড়ির ইনচার্জের চড়ে বসার ঘটনায় এসএসপি জানান, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের দাবি, ওই মহিলারা অভিযুক্তকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।