উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দশম তলা থেকে পড়ে ১৯ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ক্রমেই সামনে আসছে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়েটি কোটিপতি ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করত। তার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর অবাক করা সত্যিটা প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। কী হয়েছিল সেদিন, চলুন পুরো ঘটনাটা জেনে নেওয়া যাক।
বস্তুত, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কানপুর শহরের গুলমোহর অ্যাপার্টমেন্টের নীচে ১৯ বছরের এক কিশোরীর দেহ পাওয়া যায়। মেয়েটি দুই দিন আগেই প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতে দশম তলায় প্রতীকের বাড়িতে এসেছিল। মেয়েটির মৃত্যুর পর প্রতীক জানান যে তিনি ওই বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যেখানে মৃতের স্বজনরা ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
পোস্টমর্টেম থেকে সামনে এসেছে
এই মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত প্রতীককে রাতে তার বাবা এসকে বৈশের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন (বুধবার) তিন চিকিৎসকের একটি প্যানেল মেয়েটির পোস্টমর্টেম করে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধর্ষণের স্পষ্ট উল্লেখ না থাকার অভাবে, এর স্লাইডটি তদন্তে পাঠানো হয়েছিল। তথ্য অনুযায়ী মৃতের গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাতে সিগারেটের ছ্যাকার মতো চিহ্নও পাওয়া গেছে। হাত, পা ও মাথার হাড় ভেঙে গেছিল।
ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যর্থ হয়েই হত্যা
পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ একটি প্রেস নোট জারি করে বলেন, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, যখন তারা এতে সফল হয়নি, তখন মেয়েটিকে দশম তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
এদিকে পোস্টমর্টেমের পর মৃতের স্বজনরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে হৈ চৈ শুরু করে। সমাজবাদী পার্টির কর্মীরাও এই দাবির সমর্থনে যোগ দেয় এবং তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।