Banking Fraud in India: দেশে ব্য়াঙ্কিং ফ্রড (Banking Fraud) যেন সাধারণ ব্য়াপার। দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে গিয়েছে। তাই যেন এ ব্য়াপারে আলোচনাও কম হয়। তবে এই সমস্যা যে কত বড়সড় চেহারা নিয়েছে, তার পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠবে।
২০২১-২২ সালে ৮৩ হাজারের বেশি ব্য়াঙ্কিং ফ্রড (Banking Fraud)-এর ঘটনা ঘটেছে। আর এর জন্য খোয়া গিয়েছে ১.৩৮ কোটি টাকা। ঘটনা হল, এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যার মানে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এই ঘটনা নিয়ে চিন্তিত ব্য়াঙ্ক কর্তা থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য
এই তথ্য ইন্ডিয়া টুডে এক আরটিআই থেকে পেয়েছে। দেশে ব্য়াঙ্কিং ফ্রড (Banking Fraud)-এর ব্য়াপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ইন্ডিয়া টুডে আরবিআই-এর কাছে এ ব্য়াপারে তথ্য দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। সেখানে আরটিআই করেছিল। সেই আরটিআই থেকে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আর সেই তথ্য-পরিসংখ্যান মাথা খারাপ করে দিতে পারে।
আরবিআই জানাচ্ছে, ২০২০-২১ সালে রোজ ২২৯টি প্রতারণার (Banking Fraud)-এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগের অর্থবর্ষে মানে ২০১৯-২০ সাল সেই সংখ্যা ছিল ২৩১। ২০১৯-২০ সালে ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা প্রতারণা (Banking Fraud) হয়েছে। সেখানে থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ৮.৭ শতাংশ অর্থ।
ব্য়াঙ্কিং ফ্রড- মনমোহন সরকার বনাম মোদী সরকার
২০১৪-১৪ সাল থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত মোদী (PM Narendra Modi) সরকারের সময়কালে ২,৮৪,৮১৯টি ব্য়াঙ্কিং ফ্রডের মামলা হয়েছে। এতে ৫.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই ৭ বছরে যত টাকার প্রতারণা করা হয়েছে, তার মধ্যে থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মানে ৯.৮ শতাংশ টাকা ফেরত এসেছে।
এবার দেখা যাক মনমোহন সিং (Manmohan Singh) সরকারের সময় কী পরিস্থিতি ছিল। ২০০৭-০৮ সাল থেকে ২০১৪-১৪ সাল পর্যন্ত মানে এই ৭ বছরে ২৯,৪৫১টি ব্য়াঙ্ক প্রতারণার মামলা হয়েছিল।
সে সময় ৩১,৬৭৪ কোটি টাকা কার্যত লুঠ করেছিল প্রতারকেরা। এর মধ্য়ে উদ্ধার করা গিয়েচে ৭,৪৯৩ কোটি টাকা। মানে ২৩.৭ শতাংশ টাকা।
এই ১৪ বছরে মানে ২০০৭-০৮ থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে ৩,১৪,২৭০টি প্রতারণার মামলা হয়েছে। যাত ৫,৩০,৫৭১.৫৫ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। আর সেখান থেকে মাত্র ৫৬,৫০২ কোটি টাকা ঘরে ফিরেছে।
নোটবন্দির পর বেড়েছে অনলাইন প্রতারণা?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেন। পরিসংখ্যান বলছে, তারপর থেকে অনলাইন প্রতারণার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৬-১৭ সালে হাজার পাঁচেক প্রতারণার মামলা সামনে এসেছিল।
২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৮ গুণ মানে ৪০ হাজার। ফলে এটা মনে করা হচ্ছে, নোটবন্দির পর অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা বেড়েছে। অন্তত পরিসংখ্যা তা-ই বলছে।