Bibhum, Nanoor:প্রতিবাদীকে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে শাবল দিয়ে পিটিয়ে মারল এক মত্ত ব্যক্তি। এমনই অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বীরভূম (Bibhum)-এর কীর্ণাহার (Kirnahar)-এর ঘটনা। নিহতের নাম রণঞ্জয় ঘোষ (৪৩)। এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
মদ খেয়ে গালাগাল
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মত্ত অবস্থায় গালাগালি করছিল গিরিধারী যশ। আর এর প্রতিবাদ করেন রণঞ্জয় ঘোষ (৪৩)। তার পরেই প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে খুন করা হল প্রতিবাদীকে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খুন করার পর অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছিল।
লোহার শাবল দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Bibhum) জেলার নানুরের কীর্ণাহার (Kirnahar)-এ। কীর্ণাহার (Kirnahar) থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
নিজের দোকানে যাচ্ছিলেন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রণঞ্জয় ঘোষের কীর্ণাহার (Kirnahar) বাজারে একটি কাঠের দোকান রয়েছে। রবিবার বিকালে তিনি দোকানে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গালাগালি করছিল অভিযুক্ত গিরিধারী যশ।
সে মদ খেয়েছিল বলে অভিযোগ। রণঞ্জয় ঘোষের বাড়ির কাছেই তাঁর বাড়ি। রণঞ্জয় এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। আর এর জেরে পরিবেশ উতপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ গিরিধারী বাড়ি গিয়ে একটি শাবল নিয়ে আসে।
একের পর এক আঘাত
এবং রনঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে তার পরেও বেশ কয়েকবার শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর গিরিধারী বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি
রণঞ্জয়ের ভাইপো সন্তু ঘোষ দাবি করেন, কাকা দোকানে যাচ্ছিলেন। সেই সময় গিরিধারী মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করলে কাকা প্রতিবাদ করে। এর পরে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
তাঁর আরও দাবি, আর তার ফলেই মৃত্যু হয়। রাস্তায় মেরে দিয়ে চলে যায়। খাওয়াদাওয়া করে কাকা দোকানে আসছিল। সে সময় কথা কাটাকাটি হয়। হাইরোডের মধ্য়ে মারে। আগে কোনও ঝামেলা ছিল না। সামনাসামনিই ঘরবাড়ি। বাড়ি থেকে দোকান এক কিলোমিটার দূরে।
নিহতের ভাই ধনঞ্জয় ঘোষ জানান, কী হয়েছে জানেন না তিনি। মাঠে ছিলেন। মারামারি লাগে, ভাই রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, মদ খেয়েছিল গিরিধারী যশ, সে মেরেছে। মদ খেয়ে গালাগালি করছিল। মেরে পালিয়ে গিয়েছিল। মারার পর হেঁটে চলে যায়। সঙ্গে ছিল শাবল। মাথায় মেরেছে।
গ্রেফতার
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।