মদের নেশায় চুর এক গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আহত মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। তার দল কোনও দায় নিতে চায়নি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আক্রান্তের পরিবার তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত।
মার, গালিগালাজ
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, হুগলির খানাকুলের পোল-২ অঞ্চলের ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম আসিফ ইকবাল। ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় এক অন্তঃসত্তা মহিলাকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে।
আরও অভিযোগ, মহিলার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুগলির খানাকুল উত্তাল হয়ে যায়।
ভিডিও ভাইরাল
জানা গিয়েছে, বর্তমানে আক্রান্ত মহিলা খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি খানাকুল থানা এলাকার লাঙ্গুলপাড়ায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ঘটনায় আক্রান্ত খোদ তৃণমূল কর্মী শেখ ইয়াসিনের পরিবার। তৃণমূল নেতার এবং তার দলবলের আক্রান্ত পরিবারের ওপর আক্রমণ চালানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
খানাকুল থানার পোল-২ অঞ্চলের প্রধান আসিফ ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল মদ্যপ অবস্থায় একটি পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে মারধর, অশ্রাব্য গালিগালাজ করা, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে লাথি মারার।
চকভেদুয়ার বাসিন্দা তৃণমূল সমর্থক মহঃম্মদ ইয়াসিনের অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় প্রধান আসিফ ইকবাল হঠাৎই চড়াও হয়ে তাঁকে মারধোর শুরু করে। তাঁর মা, গর্ভবতী স্ত্রী ও বাড়ির অন্যান্যরা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও লাঠি দিয়ে মারধোর করে।
পরিবারের অভিযোগ
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, প্রধান যা বলবে, তা-ই মানতে হবে। না হলেই মদ খেয়ে মাতলামি, মারধর, গালিগালাজ করবে। এবারও তাঁরা থানায় অভিযোগ করেছেন। থানা ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানি না। ইয়াসিনের স্ত্রীকে খানাকুল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের অবস্থান
এ বিষয়ে খানাকুল পোল-২ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, আক্রান্ত পরিবার দলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। দলের তরফ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে আইন মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনও অন্যায় কাজ করলে তার দায় দল কোনও মতেই নেবে না।