বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ভারত বন্ধ পালিত হল।
সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত। এই নিয়ে আজ ১৩ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন।
বনধের অংশ হিসেবে হাইওয়ে টোল গেটগুলিতে অবরোধ করছেন কৃষকরা৷ সরকারকে কোনও প্রকার টোল আদায় করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
কৃষকদের আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানায় একাধিক রাজনৈতিক দল।
সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি না করেই বনধ পালিত হবে বলে জানিয়েছিল ভারতীয় কিসান সংগঠন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চাক্কা জ্যামও চলে। কিন্তু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্ধে রাজ্যে মিশ্র প্রভাব। সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ বিক্ষোভে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
কলকাতার যাদবপুর সহ রাজ্যের কোথাও কোথাও রেল অবরোধ হয়েছে।
লেকটাউন, মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে. চৌমাথা মোড়ে, যশোর রোডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বামকর্মীরা।
শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়েও জমায়েত করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। রিষড়া, ডোমজুড়, বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, জয়নগর, পাঁশকুড়া, বালি,বাঁকুড়া, আসানসোল, কোচবিহারেও সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বাম সমর্থকরা।
ব্যাহত হল ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে গোটা ভারতের এই বিক্ষোভে সামিল হওয়া উচিত। ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এদিন বন্ধ ছিল দিল্লি জুড়ে। এর প্রেক্ষিতে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।
দিল্লি জুড়ে একাধিক বাস ও ট্যাক্সি সংগঠনও এই বিক্ষোভে সামিল হয়। দিল্লি অটো রিকশ সংঘের সাধারণ সচিব রাজেন্দর সোনি দাবি করেন এদিন বেশ কয়েকটি অটো ইউনিয়ন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে
দিল্লি জুড়ে ব্যাহত হয় দুধ, সবজির সরবরাহ। দিল্লি পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সেই বনধেই সমর্থন জানিয়ে সামিল হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কমল হাসানের মাক্কাল নিধি মইম বা এমএনএম দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
বনধ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পাটনা শহর। টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
অমৃতসরে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত হন বেসরকারি হাস চালকরাও।
কৃষক বনধের কারণে দিল্লিকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে।
উত্তর ভারতের মত বনধের প্রভাব পড়েছে তেলেঙ্গনা, কর্ণাটক, অন্ধপ্রদেশের মত দক্ষিণর রাজ্যগুলিতেও।