করোনা মহামারির ভয়াবহ ত্রাস এসে আছড়ে পড়েছে ইউরোপে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ইউরোপে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। করোনা মহামারী প্রকোপের পর থেকে এক সপ্তাহে এই হারে করোনা সংক্ৰমণ ইউরোপে প্রথম। এরই মধ্যে করোনার ২৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে যে সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেক। পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশে ভ্যাকসিনেশন কমেছে সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে পশ্চিম ইউরোপের যেসব দেশে টিকা দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি সেখানেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইউরোপ আবারও করোনা ভাইরাসের 'এপিসেন্টার' হয়ে উঠছে। সেখানে পুনরায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোভিড বিধি।
ইউরোপের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আবারও ভয় ধরাচ্ছে। কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত? ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৮৫০। শুক্রবারের থেকে শনিবার ৫.৩% কমেছে ভারতের সংক্ৰমণ। মৃতের সংখ্যা ৫৫৫।
দেশের মধ্যে কেরালায় করোনা সংক্ৰমণ ৬,৬৭৪। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত ৯২৫। পশ্চিমবঙ্গে ৮৬০।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১২,৪০৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। দেশে ৯৮.২৬ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
এদিকে, ইউরোপে করোনা ত্রাস প্রসঙ্গে WHO জানিয়েছে, ৫০ কোটি কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন ১৪৪টি দেশে পৌঁছেছে। এই বছরের শেষে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকা দেওয়া উচিত। এর জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে মোট ৫৫ কোটি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে।
করোনা মহামারির কারণে ২৩টি দেশে ২৪টি হামের টিকাদান কর্মসূচিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ৯ কোটি ৩০ লাখ শিশু এখনও বিপদে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনেক ধরনের টিকাদান কর্মসূচিও করোনার প্রভাবে পড়েছে। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের জরুরী ব্যবহারের জন্য একই WHO অনুমোদন নিয়েও আলোচনা হয়েছিল।