প্রত্যেক মাসে মাত্র ১৫,০০০ টাকা সঞ্চয় করলেই আপনি ১০ কোটি টাকার বেশি জমিয়ে ফেলতে পারবেন। এটি অনেকে উদাহরণ হিসেবে মানেন, তবে সত্যিই, এই ফর্মুলা মানলে ১০কোটির মালিক হতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিনিয়োগের সঠিক সূত্র জানলে আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন।
15x15x15 ফর্মুলা
15x15x15 ফর্মুলা মানলেই হবেন ১০ কোটি টাকার মালিক। প্রকৃতপক্ষে, বিনিয়োগ শুরু করার জন্য কোন বড় অঙ্কের প্রয়োজন নেই। আপনি প্রতি মাসে নিয়মিত অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করেও বড় সঞ্চয় করতে পারেন। বিশেষ করে যদি আপনি বাড়ি, গাড়ি, সন্তানের শিক্ষা, সন্তানের বিয়ে বা আপনার অবসরের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে এই (15x15x15) সূত্রটি একটি বড় সম্পদ তৈরি করতে পারে।
কোটিপতি হতে হলে আপনাকে নিয়মিত বিনিয়োগ করতে হবে। আজকের যুগে, আর্থিক উপদেষ্টারা বিনিয়োগকারীদের ভাল রিটার্নের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা খুবই সহজ। যেকোনও বয়সের মানুষ মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি করতে পারেন। পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিংয়ের সহজ সূত্র হল বিনিয়োগের লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদী হওয়া উচিত।
15x15x15 সূত্র ব্যবহার করলেই আপনি কীভাবে মাত্র ১৫ বছরে কোটিপতি হতে পারেন, তা জেনে নিন। এর জন্য, আপনাকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকায় মিউচুয়াল ফান্ডে বছরের জন্য প্রতি মাসে SIP করতে হবে। এই বিনিয়োগে ১৫ শতাংশ সুদ পেতে হবে। এই বিনিয়োগে, প্রত্যেক মাসে ১৫ হাজার টাকা দিলে ১৬ বছরে হবেন কোটিপতি। ১৫ হাজার থেকে ৯২ লক্ষ পাবেন আর ১৫ শতাংশ সুদ।
১৫x১৫x১৫ সূত্র অনুযায়ী, ২০ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে ৩৫ বছর বয়সে আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন। আপনি যদি ২৫ বছর বয়সে শুরু করেন, আপনি ৪০ বছরে কোটিপতি হয়ে যাবেন। ৪০ বছর বয়সে আপনি বাড়ি, গাড়ি এবং অন্যান্য স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।
১০ কোটি জমা করার ফর্মুলা: অন্যদিকে, এই ফর্মুলাটি অবলম্বন করে, আপনি ৩০ বছরে ১০ কোটির বেশি অর্থ পেতে পারেন। এতে শুধু আপনাকে দীর্ঘ সময় বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতি মাসে বিনিয়োগের পরিমাণ (১৫ হাজার টাকা) এবং সুদ (১৫ শতাংশ) থাকবে। 15x15x30 সূত্রের অধীনে আপনাকে ৩০ বছর ধরে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার একটি SIP করতে হবে।
৩০ বছরে আপনি মোট ৫৪ লক্ষ জমা করতে পারবেন।এর ওপর প্রায় ৯.৯৭ কোটি সুদ পাবেন। ২০ বছর বয়সে এই সূত্রের অধীনে বিনিয়োগ করা শুরু করেন, ৫০ বছর বয়সে আপনি ১০ কোটি টাকার মালিক হবেন।
SIP-এর সুবিধা: এসআইপি-তে সাইকেল সূত্রে সুদ যোগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে মূল বিনিয়োগের উপর সুদ অর্জিত হয়, তারপর সুদের ওপর সুদ অর্জিত হয়। যা দিয়ে আপনি প্রতি মাসে নিয়মিত বিনিয়োগ করে কোটিপতি হতে পারেন।