ভারতের প্রতিরক্ষা মুকুটে আরও একটি পালক। বৃহস্পতিবার ওডিশা উপকূলে হক-আই (Hawk I) এয়ারক্র্যাফ্টের (Hawk-i Aircraft) মাধ্যমে স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড ওয়েপনের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হল। ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম এই হাতিয়ার। হক-আই এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরি করছে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindustan Aeronautics Limited-HAL। সাধারণত এটা বিমান প্রশিক্ষণরে জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে আক্রমণও চালানো হতে পারে। (ছবি-গেট্টি)
হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড লিমিডেটের হক-আই এয়ারক্র্যাফ্ট নিয়ে আকাশে উড়ে যান দুই অবসরপ্রাপ্ত উইং কম্যান্ডার পি অবস্থি এবং এম পটেল। তাঁরা স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড ওয়েপন (Smart Anti-Airfield Weapon - SAAW) দিয়ে সঠিক সমসয়ে নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হানেন। (ছবি-গেট্টি)
এই বিষয়ে HAL জানিয়েছে, স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড ওয়েপন টার্গেটকে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে DRDO জানিয়েছে এটাই প্রথম স্মার্ট অস্ত্র, যা স্বদেশী হক-আইএমকে ১৩২ দিয়ে ফায়ার করা হয়েছে। (ছবি-গেট্টি)
স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড ওয়েপন আসলে একটি ১২৫ কেজি ওজনের গ্লাইডিং বম্ব। এটি খুবই অত্যাধুনিক। এই অস্ত্র উড়ন্ত যুদ্ধবিমান থেকে দাগা যাবে। এটি দিয়ে ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে শ্ত্রুপক্ষের বাঙ্কার, ট্যাক্সি ট্র্যাক, রানওয়েতে আঘাত হানা যাবে। (ছবি-গেট্টি)
এই অস্ত্র এর আগে জাগুয়ার যুদ্ধ বিমান থেকেও দাগা হয়েছিল এবং পরীক্ষা সফলও হয়েছিল। এই গ্লাইডিং বোমা বানানোর অনুমতি ২০১৩ সালে মিলেছিল। ২০১৬ সালের মে মাসে এর প্রথম পরীক্ষা হয়। তারপর ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০২০-র সেপ্টেম্বরেও এর সফল পরীক্ষা হয়। (ছবি-এএনআই)
DRDO জানাচ্ছে, গ্লাইডিং বোমা অন্যান্য বোমার থেকে আলাদা। এটা দিয়ে যে কোনও মরশুমে আঘাত হানা যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকলেও লক্ষ্যচ্যূত হয় না। কিন্তু অন্যান্য বোমার ওপর আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে। (ছবি-গেট্টি)
এই অস্ত্র জাগুয়ার ও সুখোই -৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমান থেকে দাগা যায়। বর্তমানে একে রাফায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গ্লাইডিং বোমা এক ধরনের গাইডেড অস্ত্র যা টার্গেটকে লক করে তাকে ধ্বংস করে। এটি রকেট বা মিসাইলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সস্তা, কিন্তু এর আঘাত শত্রুপক্ষকে কাঁদিয়ে ছাড়বে। এটা এতটাই শক্তিশালী যে কংক্রিটের বাঙ্কার বা ট্যাঙ্কও ধ্বংস করতে পারে। (ছবি-গেট্টি)