ভারত আজ ২৬ জানুয়ারি তার ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। রাজধানী দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবার নানাভাবেই ছিল ভিন্ন। প্রথমবারের মতো কর্তব্য পথে পাড়ি দিল প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। আগে এটি রাজপথ নামে পরিচিত ছিল।
প্রথমবারের মতো এমন হল যে ভিভিআইপিরা কুচকাওয়াজ দেখতে প্রথম সারিতে ছিলেন না। এবার প্রথম সারিতে বসলেন রিকশাচালক, কর্তব্য পথ নির্মাণকারী শ্রমিক ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা, যাদের নাম দেওয়া হয়েছে শ্রমজীবী।
প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন অগ্নিবীররা। কর্তব্য পথে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মি প্রথমবারের মতো প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজের স্যালুট নিলেন।
এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মিসরের ১২০ সদস্যের মার্চিং স্কোয়াডও কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে এবার।
এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রদর্শিত হল 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র অস্ত্র ও সরঞ্জাম। প্রথমবারের মতো ১০৫ মিমি দেশীয় বন্দুক দিয়ে ২১টি বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হল।
২ বছর পর দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজপথে ফিরছে বাংলার ট্যাবলো। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার থিম 'নারী শক্তি'। এবছরই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গা পুজো।
কর্তব্য পথে নজর কাড়ছেন বাংলার মহিলা ঢাকিরা। বাংলার ট্যাবলো সাজান হয়েছে বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত পোড়ামাটির (টেরাকোটা) শিল্পকর্মের আদলে।
এ বছর মোট ২৩ টি ট্যাবলো ছিল কর্তব্যপথে।
তার মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি থেকে ১৭ টি ও বিভিন্ন মন্ত্রকের তরফ থেকে আরও ৬ টি ট্যাবলো রাখা হয়েছিল।