মার্কিন নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ভারত সফরে। সোমবার ভারতে এলেন সস্ত্রীক মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেয়ো ও সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স মার্ক টি এসপার।
আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও স্বরাষ্ট্র সচিব মার্ক টি এসপার '2+2' বৈঠকের তৃতীয় অধ্যায়ে কৌশলগত ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে এদেশে এসেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের ৮ মাস পর দু দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এই বৈঠক হতে চলেছে। এদিন ভারতে এসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স মার্ক টি এসপার।
তার আগে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মার্ক টি এসপারকে ভারত সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে ভারত সফরে এসে ট্রাম্প আশ্বাস দিয়ছিলেন দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হতে পারে। আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন কয়েক আগে দুই মার্কিন কর্তার এই সফরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পম্পেয়োর এই সফরের ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট এই নিয়ে চতুর্থবার ভারত সফরে এলেন। ভারতে পাড়ি দেওয়ার আগে পম্পেয়ো ট্যুইটে লেখেন, 'ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া সফরের জন্য রওনা হচ্ছি। আমাদের সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করতে পারার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ, দৃঢ়, উন্নত ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির ভাবধারা শেয়ার করার সুযোগ পাব।'
আমেরিকা জানিয়েছে, 2+2 বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্তরের বৈঠকে দু দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, সেনাদের আলাপচারিতা ও প্রতিরক্ষা,বাণিজ্যই হল মূল অ্যাজেন্ডা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। সেখানেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘BECA’ প্রতিরক্ষা চুক্তি।
দুই মার্কিন আধিকারিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও সরকার ও বাণিজ্যক্ষেত্রের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই সফর বলে মার্কিন সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে ।
ভারত-আমেরিকা হাই-প্রোফাইল ২+২ বৈঠকের তৃতীয় অধ্যায়ে পম্পেও, এসপারের এই সফরের দিকে নজর রাখছে চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশ। লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের মুখে ভারতের পাশে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বেজিং ও পাকিস্তান।