ভয়াবহ ক্ষতির মুখে রয়েছে উত্তরাখণ্ড। একদিকে প্রাণহানি আরেকদিকে বিপর্যস্ত প্রকৃতি। সে রাজ্যের ডিজিপি জানিয়েছেন, "হিমবাহের ধসের ফলে ৫০ জনেরও বেশি লোক ভেসে গিয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ ছাড়াও আইটিবিপি এবং সেনাবাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার করে নিচু অঞ্চলগুলিতে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ হচ্ছে। মানুষকে নদী থেকে দূরে যেতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।"
এদিকে উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনায় ঋষি গঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরও ভেসে গিয়েছে। জোশীমঠের ম্যাজিস্ট্রেট অনিল ছানিয়াল জানান, জলের গতি খুব দ্রুত ছিল যার কারণে অনেক সেতু ভেঙে গিয়েছে। অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগও নষ্ট হয়ে গেছে।
হিমবাহ ধসের এই ঘটনায় জোশীমঠের ম্যাজিস্ট্রেট কুমকুম জোশী বলেন নদী পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বহু লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এই ধসের ফলে একাধিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন এলাকা। সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানান যায়নি।
২০০টিরও বেশি আইটিবিপি জওয়ান ওই নিচু অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। এসডিআরজির ১০টি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হরিদ্বার, ঋষিকেশ ও শ্রীনগরে হাই অ্যালার্ট জানান হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত নিজেই ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।