Advertisement

লাইফস্টাইল

Sandapkhu Expedition: নেপালে হিংসা, পুজোর মুখে অন্ধকারে সান্দাকফু ট্রেকার ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 13 Sep 2025,
  • Updated 6:19 PM IST
  • 1/8

পুজো এসে গেল! পাহাড় ঘেরা দার্জিলিং, লেপচাজগত, কার্শিয়াং। সেজে উঠছে পর্যটকদের জন্য। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের সান্দাকফু ট্রেকিং রুট খুলে যাওয়ার কথা ১৫ সেপ্টেম্বর। বুকিং তো প্রায় ভরে গিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই খাঁ খাঁ করছে ট্রেকারদের বুক! কারণ, প্রতিবেশী দেশ নেপালের অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পর্যটকদের কপালে।


 

  • 2/8

সান্দাকফু রুট যে শুধু দার্জিলিং পাহাড়ের নয়, একেবারে ক্রসবর্ডার ট্যুরিজমের ‘মডেল রুট’ বললে ভুল হবে না। কারণ, এই ট্রেকের একাংশ পড়ে নেপালের ভূখণ্ডে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে রাতের থাকার জায়গাও অনেকটাই নির্ভর করে নেপালের লজ ও হোমস্টেগুলোর উপর। ফলে, নেপালে বিক্ষোভ বা গোলমালের খবর ছড়াতেই প্রশ্ন উঠছে—এই মুহূর্তে আদৌ সান্দাকফু যাওয়া নিরাপদ কি না?

 

  • 3/8

পর্যটকদের একাংশ ইতিমধ্যেই দ্বিধায় পড়েছেন—বুকিং তো করেই ফেলেছি, কিন্তু যাওয়া ঠিক হবে তো? সীমান্তে সমস্যা হলে ফেরা যাবে কীভাবে? সেই সঙ্গে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। পুজোর মরশুম মানেই পাহাড়ে রোজগারের বড় সময়। আর সেই সময়েই যদি পর্যটক পিছিয়ে যান, তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে ট্রেকিং গাইড থেকে শুরু করে হোমস্টে-মালিক, গাড়ি চালক—সবারই।

 

  • 4/8

তবে এখনও অবধি হাল ছাড়ছেন না ট্রাভেল অপারেটররা। ইস্টার্ন হিমালায়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, “এখনও পর্যন্ত জিটিএ বা কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থার তরফে সান্দাকফু বা ক্রসবর্ডার ট্যুরিজম নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।

 

  • 5/8

তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, ১৫ তারিখের আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।” পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কেউ চাইলে বিকল্প ট্রেকিং রুট বা বুকিং বদলের সুবিধাও দেওয়া হবে।

 

  • 6/8

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যান্যাল জানাচ্ছেন, “সান্দাকফু ট্রেকিং রুটের ভারতীয় অংশ এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখানে এসএসবি মোতায়েন রয়েছে। চাইলে পর্যটকরা ভারতীয় সীমান্তেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে ট্রেক করতে পারেন।”

 

  • 7/8

জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই রুটে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। মূলত রডোডেনড্রনের মরশুম নয়, কিন্তু পরিষ্কার আকাশ, কাঞ্চনজঙ্ঘার দুরন্ত ভিউয়ের জন্য এই সময় বহু মানুষ সান্দাকফুর পথে পা বাড়ান।

  • 8/8

সব মিলিয়ে, পাহাড় প্রস্তুত হলেও, নেপালের পরিস্থিতি সামান্য থমকে দিয়েছে পর্যটনের গতি। তবে ট্রাভেল অপারেটররা শেষ আশা ছাড়ছেন না। এখন দেখার, শেষ মুহূর্তে কী সিদ্ধান্ত নেন পর্যটকরা—ট্রেকিংয়ের ব্যাগ গুছিয়ে পাহাড়ে পাড়ি, না কি বুকিং বাতিল করে শহরেই পুজো?

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement