সময়টা গতবছরের মাঝামাঝি। তখন মহামারিতে ত্রাহি ত্রাহি রব গোটা বিশ্বের। আবিষ্কার হয়নি করোনাভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন। তার মধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির 'করোনিল' ট্যাবলেট নাকি ৭ দিনেই সারিয়ে দেবে করোনা। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। সেই ওষুধ বাজারেও ছেড়ে দেয় পতঞ্জলি। যদিও এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। এমনকী উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ বিভাগ জানিয়ে দিয়েছিল, করোনা চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহারের কোনও লাইসেন্সই নেয়নি পতঞ্জলি। জ্বর এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ তৈরির অনুমতি চেয়েছিল রামদেবের সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক পতঞ্জলিকে করোনার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দেয়। এমনকী এফআইআর হয় রামদেবের বিরুদ্ধেও। বাধ্য হয়ে সেই সময় পতঞ্জলি জানিয়ে ছিল, করোনা রুখতে কোনও ওষুধ তাঁরা আবিষ্কার করেনি। কিন্তু এবার রামদেব ফের একবার দাবি করলেন, অতিমারীর ওষুধ আবিষ্কারের। শুক্রবার বাবা রামদেব ভারতবাসীর জন্য করোনার ওষুধ নিয়ে এসেছেন বাজারে।
পতঞ্জলি দাবি করেছে নতুন এই ওষুধ প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। যার উদ্বোধন রামদেবের সঙ্গে হাজির ছিলেন দুই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন এবংনীতিন গড়করি। তাদের আবিষ্কৃত করোনার এই নতুন ওষুধের নামও করোনিল রেখেছে পতঞ্জলি। তাদের দাবি করোনিল ট্যাবলেটগুলি এখন কোভিডকে নিরাময় করবে।
আয়ুষ মন্ত্রক করোনিল ট্যাবলেটকে করোনার ওষুধ হিসাবে গ্রহণ করেছে। পতঞ্জলি দাবি করছে যে নতুন করোনিল ড্রাগটি CoPP-WHO GMP সার্টিফাইড। ওষুধটির উদ্বোধনের সময় বাবা রামদেব বলেন আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে গবেষণা করেই এটি তৈরি করা হয়েছে।
করোনার নতুন ওষুধ প্রকাশের পরে আজতকের সাথে আলাপচারিতায় বাবা রামদেব বলেছিলেন যে গত তিন দশক ধরে আমার উপর কতকগুলি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। যেখন আমি বলেছিলাম যে আপনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এখন আমাদের কাছে সমস্ত শংসাপত্রের সাথে ২৫০ টিরও বেশি গবেষণা পত্র রয়েছে, এরমধ্যে করোনার উপরে ২৫ টি গবেষণাপত্র। তাই এখন কেউই আর বিশ্বে প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আজতকের সাথে কথা বলতে গিয়ে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন যে লোকেরা ইতিমধ্যে করোনিল ব্যবহার করেছে, তবে এখন ডিজিসিএর পরে আমরা 'হু'র অনুমোদন পেয়েছি, ফলে এই ওষুধ এখন ১৫৪ টি দেশে অনুমোদন পেল, তার ওপর আমরা বৈধভাবে করোনিল নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করেছি ।