কোভিড চিকিৎসায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়েছে, রোগীদের স্টেরয়েড দেবেন না চিকিৎসকরা। লাগাতার কাশি হলে যক্ষা রোগের পরীক্ষা করাতে হবে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অপ্রমাণিত ওষুধের অপব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন ৩২ বিশেষজ্ঞ। সেই চিঠির কয়েক দিন পর করোনা চিকিৎসায় সংশোধন করে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র।
৩২ জন বিশেষজ্ঞ চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ডেল্টার সময়ে ভারতে মিউকরমাইকোসিস এবং ব্রাজিলে অ্যাসপারজিলোসিসের মতো ছত্রাক সংক্রমণ হয়েছিল ভুল পথ্যের ব্যবহারে। কেন্দ্রের সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্টেরয়েডের ব্যবহারে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে। স্টেরয়ডের উচ্চ ডোজ বিপজ্জনক হতে পারে। দরকার মনে হলে মৃদু, মধ্যম ও গুরুতর অবস্থা বিবেচনা করে স্টেরয়েড দিতে পারবেন চিকিৎসকরা। বলে রাখি, স্টেরয়েডের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য ও কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কাশি দু-তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষা রোগ হয়েছে কিনা তার পরীক্ষা করাতে হবে।
মৃদু উপসর্গ
সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, শ্বাস নিতে সামান্য সমস্যা হলে মৃদু উপসর্গ হিসেবে গণ্য করা হবে। এক্ষেত্রে ঘরেই নিভৃতবাসে থাকবেন আক্রান্ত। শ্বাস নিতে সমস্যা, ৫ দিন ধরে জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাঝারি উপসর্গ
শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যার সঙ্গে অক্সিজেনের তারতম্য ৯০ থেকে ৯৩ শতাংশ হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে রোগীকে। দরকার পড়লে অক্সিজেন দিতে হবে।
গুরুতর উপসর্গ
আক্রান্তের শ্বাসপ্রশ্বাস হার ৩০ মিনিট ধরে বেশি হলে, অক্সিজেনের তারতম্য ৯০ শতাংশের নীচে নেমে গেলে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। সেই সব রোগীদের আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হবে। কারণ তাদের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থার দরকার। নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন , হেলমেট বা ফেস মাস্ক ইন্টারফেজের সুবিধা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- খারিজ মমতার ট্যাবলো-আর্জি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজনাথের
মধ্যম ও গুরুতর উপসর্গ রয়েছে অথবা উপসর্গ আসার ১০ দিন পর হার্ট বা কিডনির সমস্যা না থাকলে আপৎকালীভাবে রেসডিসিভির দেওয়া যেতে পারে। রোগীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হলে টোসিলিজুমাব ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
ষাটোর্ধ্ব কো-মর্বিডিটি থাকা রোগীদের বেশি সমস্যা বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। মধুমেয়, যক্ষা, কিডনি, পাকস্থলী, হৃদযন্ত্রে সমস্যা থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কা পর্যন্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন- খোলা বাজার থেকে প্রিন্ট করা Aadhaar স্মার্ট কার্ড বৈধ নয়: UIDAI