রাষ্ট্রপতি ভোট নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরোধী-জোটে ফাটল! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) প্রধান এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে আজ, বুধবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এবং আম আদমি পার্টি (আপ) তা এড়িয়ে যেতে চলেছে। তবে বেশ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল সেখানে থাকতে চলেছে বলে খবর।
এই সিদ্ধান্তর কারণ কী?
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করতে চায় না টিআরএস। এদিকে, AAP বলেছে, "আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার পরেই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।"
মমতার উদ্যোগ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য একটি যৌথ কৌশল প্রণয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা।
আরও পড়ুন: ভারতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বেড়েছে মেয়েদের: সমীক্ষা
আরও পড়ুন: রিওয়ার্ড, ডিসকাউন্ট থেকে ইনসুরেন্স কভার, LIC ক্রেডিট কার্ডের ফায়দা কী কী?
আরও পড়ুন: হাওড়ার তালিত গুডস শেড থেকে পাঠানো হল বালি, এই প্রথম
দিল্লিতে মমতা
মঙ্গলবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে এসেছেন। এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করেন। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী মনোনীত প্রার্থী হতে বলেছিলেন। এনসিপি প্রধান অবশ্য এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেনন যে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকতে চান।
কারা বিরোধী বৈঠকে সই করেছে?
গত সপ্তাহে টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ বিরোধী নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন। তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা ১৫ জুন নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মিটিংয়ে যোগ দেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অ-বিজেপি দলগুলিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। 'একতরফা' বৈঠক ডাকার জন্য মমতাকে খোঁচা দিয়েছেন ইয়েচুরি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে অংশ নেবে কংগ্রেস। দলের নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে, রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা জয়রাম রমেশ এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা সম্ভবত বৈঠকে যোগ দিতে পারেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে আরও বেশ কয়েকটি বিরোধী দল উপস্থিত হতে পারে। এবং একটি সাধারণ প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে পারে।