কয়েকমাস আগে মজার আড়ালে চরম নিষ্ঠুরতার ছবি দেখেছিল কেরল। এক দল অবিবেচক মানুষের খামখেয়ালের মাসুল দিতে হয়েছিল নিরীহ গর্ভবতী একটি হাতিকে। সেখানে ফলের ভিতর বাজি পুড়ে খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি গর্ভবতী হাতিকে হাতিকে। আর সেই বাজি ভরা আনারস ফাটতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় হাতিটির জিভ এবং মুখ। শুধু কি তাই। সন্তান যাতে বাঁচে, সেই প্রাণ চলে যাওয়া অবস্থাতেও হাতিটি দাঁড়িয়েছিল জলের মধ্যে। যদি সে বাঁচে, আসলে পেটের সন্তানটা যদি বাঁচে! এই ঘটনা নিয়ে সেসময় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এবার ফের দক্ষিণের এক রাজ্যে ঘটল নারকীয় ঘটনা।
এবারের ঘটনাস্থল তামিলনাড়ু। জ্বলন্ত কাপড় ছুঁড়ে একটি হাতিকে পাশবিকভাবে হত্যা করার অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তি। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলগিরি জেলার মাসিনাগুড়ি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত মঙ্গলবার মাসিনগুড়ি এলাকার একটি ব্যক্তিগত রিসর্টে কিছু মানুষ কাপড়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ৪০ বছর বয়সী একটি হাতির শরীরে। এর জেরে হাতিটি অসহ্য য্ন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। বিষয়টি দেখেও কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে তামিলনাড়ুর বন দফতরের আধিকারিকরা এসে ওই হাতিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু, মাঝপথেই অগ্নিগদ্ধ হাতিটির মৃত্যু হয়। ওই রিসর্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এখনও পর্যন্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক আরেক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগুন লেগে হাতিটির কান-সহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। বন দপ্তরের আধিকারিকরা তাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এই ঘটনায় জড়িত প্রসাদ ও রেমন্ড ডিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি মাভানাল্লা এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। আরেক অভিযুক্ত রিকি রায়ান ঘটনার পর থেকে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।