Advertisement

valentine week : এই সাদা গোলাপের পাঁপড়িতে মাখানো রয়েছে প্রেম, জানুন

প্রবীণরা বলেন, এই গোলাপ গাছটি রামগড়ের রাজা দলেল সিংয়ের পুত্রবধূ রোপণ করেছিলেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত গাছটিতে ফুল ফুটছে। জানা গেছে, রাজা দলেল সিংয়ের ছেলে পুরুষোত্তম সিং তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু তারপর এই পরিবারে ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। যা আজও এই গোলাপ গাছটি তাদের ভালোবাসার অমোঘ নিদর্শন বহন করে চলেছে।

সাদা গোলাপ
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 13 Feb 2022,
  • अपडेटेड 4:15 PM IST
  • প্রবীণরা বলেন, এই গোলাপ গাছটি রামগড়ের রাজা দলেল সিংয়ের পুত্রবধূ রোপণ করেছিলেন
  • রপর থেকে আজ পর্যন্ত গাছটিতে ফুল ফুটছে
  • যা দেখে তাজ্জাব এলাকাবাসী

ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার বারকাগাঁও ব্লকের বাদাম গ্রামে একটি গোলাপ গাছ ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার সুবাস ছড়াচ্ছে। শত বছরের পুরনো এই গোলাপের আড়ালে রয়েছে তাজমহলের মতোই এক প্রেমের গল্প। 

প্রবীণরা বলেন, এই গোলাপ গাছটি রামগড়ের রাজা দলেল সিংয়ের পুত্রবধূ রোপণ করেছিলেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত গাছটিতে ফুল ফুটছে। জানা গেছে, রাজা দলেল সিংয়ের ছেলে পুরুষোত্তম সিং তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু তারপর এই পরিবারে ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। যা আজও এই গোলাপ গাছটি তাদের ভালোবাসার অমোঘ নিদর্শন বহন করে চলেছে।

আরও পড়ুন : রোগা-পাতলা চেহারা! ওজন বাড়ানোর জন্য খান এইগুলি

আনুমানিক ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে রামগড়ের রাজা চাতরা থেকে তাঁর রাজধানী বাদাম নিয়ে এসেছিলেন।আজও বাদাম দুর্গটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই দুর্গের ঠিক সামনেই একটি বর্গাকার কূপ তৈরি করা হয়েছিল।এই কূপের কাছেই রাজা দলেল সিং-এর পুত্র পুরুষোত্তম সিং-এর স্ত্রী তাঁর ভালবাসার স্মরণে এই গাছটি রোপণ করেছিলেন। শোনা যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বেশ গভীর প্রেম ছিল। উল্লেখ্য, ১৬৩১ খ্রিস্টাব্দে, মুঘল শাসক শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মরণে তাজমহল নির্মাণ শুরু করেছিলেন।

গল্প এবং কিংবদন্তী অনুসারে, ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দে একবার, যুবরাজ পুরুষোত্তম যখন বনে শিকার করতে গিয়েছিলেন, তখন কেউ একজন গুজব ছড়িয়েছিল যে তিনি শিকারের সময় মারা গেছেন। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। দুজন দুজনকে এত ভালোবাসেন , কী করে থাকবেন একজন আর একজনকে ছেড়ে? তবে এরপর শোনা যায়, রাজার মৃত্যু সংবাদ শুনে রানি কূপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

শিকার থেকে ফেরার পর যুবরাজ পুরুষোত্তম যখন জানতে পারলেন যে তাঁর মৃত্যুর গুজব শুনে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন, তখন তিনিও একই কূপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাজকুমার এবং রানি তাঁদের জীবন শেষ করলেও তাদের ভালোবাসার নিদর্শন কিন্তু আজও বর্তমান। কিন্তু যুবরাজ পুরুষোত্তমের স্ত্রীর লাগানো এই গোলাপ গাছটি এখনও কূপের কাছেই রয়েছে। যা বিগত কয়েক দশক ধরে তার সুবাস ছড়িয়ে আসছে।

Advertisement

পুত্র ও পুত্রবধূর মৃত্যুতে আহত হয়ে রাজা দলেল সিং তার রাজধানী বাদাম থেকে রামগড়ে স্থানান্তর করেন এবং ধীরে ধীরে এই এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এই গোলাপ গাছটি সেখানে বাড়তে থাকে, যা আজও তাঁদের  ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই গাছের একটি বিশেষত্ব আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি সেটি? সাধারণত গোলাপের ডাল যে কোনো জায়গায় লাগানো যায়। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও অন্য কোথাও লাগানো যায় নি। গ্রামবাসীদের কথায়, গোলাপ ফুলের এমন গন্ধ তারা আগে কোনওদিনও কোথাও পাননি।

আরও পড়ুন : মাত্র কয়েক মাসে ৩৪ কেজি ওজন কমালেন যুবতী, কীভাবে ?

উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার মিশ্র ব্যাখ্যা করেন যে সাধারণত গোলাপ গাছ ১০ থেকে ১২ বছর বাঁচতে পারে। কিন্তু একটি গোলাপ গাছের পক্ষে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকা অসম্ভব। কী কারণে এই গোলাপ গাছটি এত দিন বেঁচে আছে তা গবেষণার বিষয়। এটা কি একই সময়ের গোলাপ নাকি প্রতি বছর এখানে নতুন গাছের জন্ম হয়, সেটাই  এখন খতিয়ে দেখার বিষয়।

তবে যাই হোক, শাহজাহান মুমতাজের ভালোবাসার প্রতীক তাজমহলের মতোই ৩০০ বছর আগের এই গোলাপ গাছটিও হয়ে রইলো রাজা পুরুষোত্তম ও তাঁর স্ত্রীর ভালোবাসার নিদর্শন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement