Gemstone Pearl: মুক্তো মূলত একটি রত্নপাথর নয় বরং একটি জৈব উপায়ে তৈরি জিনিস। তা সত্ত্বেও এটি নবরত্নদের শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এটি মূলত চাঁদের একটি রত্ন। কখনও কখনও এটি একটি ওষুধ হিসাবে একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করা হয়।
চাঁদের মতো তার মণিও শান্ত, সুন্দর ও শীতল। এর প্রভাব সরাসরি মন ও শরীরের রাসায়নিক পদার্থের ওপর পড়ে। মুক্তোর প্রভাব কখনই দ্রুত হয় না। এটি ধীরে ধীরে এবং সূক্ষ্ম উপায়ে প্রভাবিত করে। তাই লোকেরা মনে করেন যে মুক্তো কখনই ক্ষতি করতে পারে না। ঘটনা হল মুক্তো ধীরে ধীরে অনেক ক্ষতি করতে পারে।
মুক্তো পরার উপকারিতা কী?
- এটি মনকে শান্ত করে, মানসিক চাপ কমায়
- ঘুমের উন্নতি ঘটায়, ভয় দূর করে
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে
- কখনও কখনও আর্থিক দিকও খুব ভাল করে
- এটি সাধারণত ডাক্তারদের উপকার করে
একটি মুক্তো ক্ষতি করলে কী হবে?
মুক্তো পরার ক্ষেত্রে সতর্কতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ এটি ধীরে ধীরে মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি গুরুতরভাবে বিষণ্নতা এবং চাপের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি নার্ভাসনেস, অস্থিরতা এবং বিরক্তি বাড়াতে পারে। এ কারণে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই রক্তচাপের সমস্যা হয়।
কার মুক্তো পরা উচিত এবং কার উচিত নয়?
বিভিন্ন লগ্ন এবং বিভিন্ন তত্ত্ব অনুসারে মুক্তো পরিধান করা শুভ
- মেষ, কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য মুক্তো পরা উত্তম
- বৃষ, মিথুন, কন্যা, মকর এবং কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য মুক্তো পরা বিপজ্জনক
- সিংহ, তুলা এবং ধনু রাশিতে বিশেষ পরিস্থিতিতে মুক্তো পরা যেতে পারে
- অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ব্যক্তি এবং রাগী ব্যক্তিদের মুক্তো পরা উচিত নয়
কীভাবে মুক্তো পরবেন?
- শুক্লপক্ষের সোমবার রাতে কনিষ্ঠা আঙুলে রুপোর আংটিতে মুক্তো পরুন
- এটি পূর্ণিমায়ও পরা যেতে পারে
- পরার আগে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে শিবকে নিবেদন করুন
শুধুমাত্র হলুদ পোখরাজ এবং প্রবাল মুক্তো দিয়ে পরা যেতে পারে, অন্য রত্ন দিয়ে নয়