Palmistry or Hast Rekha Shastra: যে কোনও মানুষের হাতের রেখায় ভাগ্য রেখা, বুধ রেখা এবং মস্তিষ্ক রেখার সংযোগে তৈরি হওয়া ট্রায়াঙ্গল বা ত্রিভূজ অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। এমনই মনে করা হয়। যাঁদের হাতে এই ট্রায়াঙ্গল বা ত্রিভূজ থাকে, তাঁদের অত্যন্ত ধনী হওয়ার পথে আসা বাধা খুব সহজেই মিটে যায়।
এর পাশাপাশি আরও একটি জিনিস রয়েছে। আর তা হল তাঁরা টাকা বাঁচাতে বা সেভিংস করতেও অত্যন্ত দক্ষ হন। এ ব্য়াপারে আরও জানান, জ্যোতিষাচার্য ড. অরবিন্দ মিশ্রা। কী করে এই ট্রায়াঙ্গল বা ত্রিভূজ চিনতে পারবেন, তা-ও জানিয়ে দিলেন তিনি।
এভাবে তৈরি হয় ত্রিভূজ
জ্যোতিষাচার্য ড. অরবিন্দ মিশ্রা জানিয়েছেন, মস্তিষ্ক রেখার মাঝে সূর্য, পর্বত এবং শনি পর্বতের সংযোগস্থলে আর ভাগ্যরেখা, বুধ রেখা এবং মস্তিষ্ক রেখার সংযোগে এই ত্রিভূজ তৈরি হয়। এই ত্রিভূজ যত বড় হয়, সঞ্চয়ের পরিমাণ ততই বেশি হয়।
এমন মানুষের কাছে জমিজমা, বেশ কয়েকটি বাড়ি, গাড়ি এবং ভোগবিলাসের আরও বেশ কিছু জিনিস থাকবে। তাদের সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। এবং ব্য়াঙ্কে রাখা পুঁজি বাড়তে থাকবে।
বাধা ছাড়াই পূর্ণ হবে কাজ
এই ত্রিকোণ বুধ রেখার প্রভাবে ব্য়বসায়িক সাফল্যের সঙ্গে সম্পত্তি বাড়ায়। অন্যদিকে, মস্তিষ্ক রেখা বৌদ্ধিক কাজ করে ধনসম্পত্তি লাভ করার কাজে সাহায্য করে। তেমনই ভাগ্য রেখা থাকার ফলে সৌভগ্য়া এবং সাফল্য বাড়ায়।
এবং বিনা কোনও বাধায় কাজ করে দেয়। ভাগ্য সব সময় কাজ দেয়। এই তিনটির প্রভাবে জীবনে ধনসম্পত্তি এবং সাফল্য আসে। এমন লোক আজীবন সুখশান্তিতে জীবন কাটাতে পারেন।
২৮-এর দেখা যায় প্রভাব
এই ধন ত্রিকোণ ২৮ বছর বয়সের আশপাশে ভাল প্রভাব দেখায়। ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত সেই ব্যক্তির ধনসম্পত্তি সংগ্রহে সফল হয়ে যান। আবার অনেকের জীবনে এর প্রভাব কিশোর অবস্থা থেকেই পেতে শুরু করেন।
জ্যোতিষাচার্য ডা. অরবিন্দ মিশ্রা জানান, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এই ত্রিভূজে কোনও কাট বা তিলের চিহ্ন থাকা চলবে না। যদি তেমন থাকে, তা হলে সেই জাতককে আকস্মিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।