বজরংবলীর (Bajrangbali ) পুজো করলে জীবনের সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করা যায়। তিনি শক্তি, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়ের উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হন। রামায়ণ (Ramayana) মহাকাব্যের একজন নায়ক হনুমান। ভগবান রামের (Lord Ram) প্রতি নিষ্ঠার জন্য স্মরণ করা হয় পবনপুত্র (Pavanaputra) হনুমানকে। তিনি চিরজীবী প্রাণীদের মধ্যে হয়ে যিনি পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে আছেন।
হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) বজরংবলীর বিশেষ পুজো করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয় হনুমান জয়ন্তী। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২১ সালে পড়েছিল ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ চৈত্র মাসে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে মার্চ-এপ্রিল মাসে হয়)। তবে, অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায়, হনুমান জয়ন্তী ৪১ দিন ধরে পালিত হয় যা চৈত্র পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষের দশমীর দিন শেষ হয়।
তেলেগু হনুমান জয়ন্তী ২০২১: তারিখ (Telugu Hanuman Jayanthi 2021: Date)
এই বছর তেলেগু হনুমান জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে ৪ জুন, শুক্রবার।
তেলেগু হনুমান জয়ন্তী ২০২১: তিথি (Telugu Hanuman Jayanthi 2021: Tithi)
দশমী তিথি শুরু হচ্ছে ৪ জুন দুপুর ০২:২২ মিনিটে এবং থাকবে ৫ জুন ০৪:০৭ মিনিট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে ভুলেও এই ১০ কাজ নয়
তেলেগু হনুমান জয়ন্তী ২০২১: রীতিনীতি (Telugu Hanuman Jayanthi 2021: Rituals)
* বিশ্বাস করা হয় ভগবান হনুমান সূর্যোদয়ের সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং,হনুমান মন্দিরগুলিতে সূর্যোদয়ের আগেই উদযাপন শুরু হয়ে সারাদিন ধরে চলে এবং সূর্যাস্তের পরে শেষ হয়।
* হনুমান জয়ন্তীর দিন ভক্তরা দিনব্যাপী উপবাস পালন করেন, গাঁদা ফুলের সঙ্গে সিঁদুর বা লাল কাপড় দিয়ে বজরংবলীর পুজো করেন। এদিন মন্দিরে যাওয়া ছাড়াও শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় সমাবেশ করেন অনেকেই। বিভিন্ন ধরণের খাবার, মিষ্টি এবং ফুল বিতরণ করা হয় পবনপুত্রের ভক্তদের।
* মনে করা হয় হনুমান জয়ন্তীতে গ্রহগুলিও বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রশান্ত হয়। এই দিনটি শিক্ষাদীক্ষা, বিয়ে, সাফল্য এবং মামলা থেকে বেরনোর জন্য খুব শুভ দিন।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিপদমুক্ত করবে মহাদেবের মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র!
স্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান
লাল পোশাক পরুন। বজরংবলীকে সিঁদুর, লাল ফুল ও মিষ্টি দিয়ে উপাসনা করুন। এরপরে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রার্থনা করুন।
অর্থনৈতিক সমস্যার
পবনপুত্র হনুমানের সামনে হালকা জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান। এরপরে ১১ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। যদি সম্ভব হয় তবে এদিন মিষ্টি দান করুন।
আরও পড়ুন: ফলহারিণী কালীপুজো কেন হয় জানেন?
মঙ্গল দোষ কাটানোর উপায়
বজরংবলীকে পুরোপুরি সম্পূন্ন সাজিয়ে রুপো দিয়ে পুজো করুন। এরপর লাল সিল্কের সুতো হনুমানের সামনে দিন। এরপরে মঙ্গল হনুমান চল্লিশার মন্ত্রটি জপ করুন। এরপর লাল সিল্কের সুতো হনুমানের সামনে দিন। এরপরে মঙ্গল হনুমান চল্লিশার মন্ত্রটি জপ করুন। আপনার গলায় লাল সুতো বেঁধে রাখুন।