সুখ-শান্তির জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন বহু মানুষ। অনেকে টাকা রোজগার করেও সঞ্চয় করতে পারেন না। উল্টে দেনায় জড়িয়ে পড়েন। অথচ কম পরিশ্রম করেও অর্থ উপার্জন করেন অনেকে। কারণ ভাগ্য সঙ্গ আছে তাঁদের। বাস্তু দোষের কারণে বহু মানুষই জীবনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান না। বিশেষ করে অর্থকড়ির ব্যাপারে তো নয়ই। বাস্তু দোষ থাকলে তা প্রতিকারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এমন কয়েকটি জিনিস রয়েছে যা ঘরে আনলে খুশি হন মা লক্ষ্মী। আর্থিক সংকট আসে না জীবনে।
ঘরে লক্ষ্মী-কুবেরের মূর্তি- আয় করেও যদি সঞ্চয় করতে না পারেন তাহলে ঘরে দেবী লক্ষ্মী এবং কুবেরের মূর্তি স্থাপন করুন এবং নিয়মিত পুজো করুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী ও কুবেরের পুজো করলে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং অর্থের অভাব হয় না।
ঠাকুরঘরে দক্ষিণাবর্তী শাঁখ- আয়ের সমস্ত উৎস বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন, সেক্ষেত্রে দক্ষিণ-পশ্চিমে রাখুন শাঁখ। নিয়মিত পুজোর সময় ব্যবহার করুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শঙ্খের ধ্বনি ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। প্রসন্ন হন দেবী লক্ষ্মী। ঘরে নিয়মিত শঙ্খধ্বনি দিলে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
বাড়িতে একটি নারকেল- টাকা না থাকলে যে কোনও শুভ সময়ে বাড়ির ঠাকুরঘরে একটি নারকেল রাখুন। সেই নারকেলের নিয়মিত পুজো করুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে একটি নারকেল পুজো করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কখনও অর্থের অভাব হয় না।
পূর্ব দিকে একটি পিতল বা রূপার পিরামিড- প্রচুর অর্থ উপার্জন করলেও সঞ্চয় করতে পারছেন না বা টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে, এই সমস্যার প্রতিকার দিতে পারে পিরামিড। বাড়ির পূর্ব দিকে রাখুন রুপা, পিতল এবং তামার তৈরি একটি পিরামিড। খুশি হন দেবী লক্ষ্মী। বাড়িতে আসে সুখ-সমৃদ্ধি।
বাড়ির ছাদে আয়না- যদি কোনও কারণে বাড়ির নির্মাণ বাস্তু অনুসারে না হয়ে থাকে তাহলে বাস্তু ত্রুটির কারণে অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের কোনও সদস্যর উন্নতি হয় না। সেক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে রাখুন আয়না। ঘরের ছায়া যেন ওই আয়নায় পড়ে। এতে দূর হয় বাস্তু দোষ।
আরও পড়ুন- ছোট থেকে বড় কোন গাছ কোথায় লাগালে ঘরে আসবে ইতিবাচক শক্তি, অর্থ?