করোনার পর বেতন তেমন বাড়েনি। উল্টে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে মাসের খরচ একধাক্কায় গগনচুম্বী। হাঁসফাঁস অবস্থা মধ্য়বিত্তের। এমন অবস্থাতেই ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ফলে আশা-প্রত্যাশাও খানিকটা বেশিই। তার উপরে এটাই মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
বাজারে পেট্রোল থেকে সর্ষের তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে সেই অনুযায়ী অনেকের বেতন বাড়েনি। তার উপরে আয়করের বোঝা। মধ্যবিত্তের আশা এবার হয়তো বাজেটে ছাড় দেবেন সীতারমন।
আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২ সালে আয়কর দেওয়ার (ITR) ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ শতাংশই বেতনভোগী। চাকরিজীবীদের আশা, এবার বাজেটে তাঁদের জন্য ঘোষণা করতে পারেন নির্মলা সীতারমন। আর অর্থমন্ত্রীর কথাতেও মিলেছে আশার খবর। তিনি ঘোষণা করেছেন, মধ্যবিত্তের চাপ কমাবেন। তাদের স্বার্থে যথাবিহিত পদক্ষেপ করবে সরকার। কোন ৫ সম্ভাব্য পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র?
আয়করের সীমা বৃদ্ধি
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে গিয়েছে মধ্যবিত্তের মাসিক বাজেট। কমেছে সঞ্চয়। মনে করা হচ্ছে, করদাতারা নতুন কর ব্যবস্থায় ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারেন সীতারমন। বর্তমানে ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতনের উপর ৫% কর
৮০সি ধারায় ছাড়ের সীমা
আয়করের ধারা ৮০সি ধারায় করদাতারা প্রতি বছর বিনিয়োগের উপর ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পান। দীর্ঘদিন ধরে এই সীমা বাড়ানোর দাবি করছেন করদাতারা। সেই ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে করদাতারা বড় স্বস্তি পাবেন। পিপিএফ, ইএলএসএস, এনএসসি, এনপিএস, ব্যাঙ্ক এফডির মতো সঞ্চয় প্রকল্পগুলি এই ধারায় আসে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
আয়কর ধারা ১৬ (আইএ)-এর অধীনে বেতনভোগীরা প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমার অধীনে ছাড় পান। সেটা বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করতে পারেন নির্মলা সীতারমন।
অবসরকালীন স্কিমে বিনিয়োগে ছাড়
সরকার অবসরকালীন স্কিমে বিনিয়োগের জন্য কর ছাড়ের সীমা বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আয়করের ধারা ৮০সিসিডি (১বি)-এ ছাড়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা হতে পারে।
স্বাস্থ্য বীমা
৮০ডি ধাকায় স্বাস্থ্য বীমার খরচে ছাড়ের সীমা ২৫,০০০ টাকা। তা বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বয়স্কদের জন্য ছাড়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।