বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পেট্রোল-ডিজেলের দর আকাশছোঁয়া! তার উপর গত এক বছর ধরেই একটু একটু করে বেড়েছে রান্নার তেলের দাম। তেলের দামে লাগামহীন এই মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা সাধারণ মানুষ।
বিগত এক বছরে রান্নার তেলের দাম প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সয়াবিন, সূর্যমুখী, রাইস ব্র্যান বা পাম তেলের দাম লিটারে প্রায় ৩৫-৪০ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
কলকাতার পাইকারি বাজারে দ্রুত বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। ফলে প্রভাব পড়ছে খুচরো বাজারেও। মাত্র এক সপ্তাহে শহরের পাইকারি বাজারে পাম তেলের দাম লিটারে প্রায় ৭ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
গত বছর এই সময় কলকাতার পাইকারি বাজারে এক লিটার পাম তেলের দাম ছিল ১৩০ টাকা যা এখন বেড়ে ১৬৭ টাকা পার করেছে। সূর্যমুখী তেলের দামও গত এক বছরে ১৬৩ টাকা থেকে ১৯৮ টাকা লিটার হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তীব্র মুদ্রাস্ফীতির চাপে থাকা ভারতীয়দের বোঝা আরও বাড়তে চলেছে। এর কারণ তৈরি হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। প্রকৃতপক্ষে, ইন্দোনেশিয়া গতকাল, ২৮ এপ্রিল থেকে পাম তেল রপ্তানিতে নিষিদ্ধাজ্ঞা জারি করেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই পদক্ষেপ ভারতের চাপ আরও বাড়াতে চলেছে। সোজা কথায়, দেশে ইতিমধ্যে ব্যয়বহুল ভোজ্য তেল আরও ব্যয়বহুল হতে চলেছে। বর্তমানে, ভারত প্রায় ৯ মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করে, যার ৭০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
গতকাল থেকে ইন্দোনেশিয়া পাম তেলের রফতানি বন্ধ করায় চাহিদা-জোগানের ব্যবধান আগামী দিনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার থেকে কতটা পাম তেল ও তার কাঁচামাল পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত নয়।
জোগানে অভাবে দেশে ভোজ্য তেলের দাম ব্যাপক বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আরও একবার ভোজ্য তেলের ফুটন্ত দামে হাত পুড়তে পারে আম জনতার। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত হেঁসেলে ফের একবার আগুন লাগার আশঙ্কা করা হচ্ছে।