গত ১৬ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফের খুলেছে স্কুল। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। আগেই বিকাশ ভবন থেকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
নতুন বছরের শুরুতেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালু করার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। তবে ওমিক্রনের বাড়ন্ত সংক্রমণে এখন সেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য শিক্ষা দফতর।
স্কুল বন্ধ থাকলেও মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবকদের মধ্যে বিলি করার অর্ডার আগেই হয়েছিল। তবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য জানুয়ারিতে স্কুল চালু করা যাচ্ছে না।
যেহেতু জানুয়ারিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালু করা যাচ্ছে না, তাই ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে তাদের পাঠ্যপুস্তকগুলি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল চালু হওয়ায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন শুরু হলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। তাই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতেও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না শিক্ষা দফতর।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে সব স্তরের জন্য স্কুল কবে খুলবে, এ প্রশ্নের উত্তর এখনও কারও জানা নেই! রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল এখনই চালু না হলেও স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির সাহায্যে ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে পাঠ্যপুস্তকগুলি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।