Visva-Bharati University Hostel: পরীক্ষার দিনগুলোতে হস্টেল খুলে দিতে হবে। এই কাজে উপাচার্যকে সাহায্য করবে পুলিশ। আন্দোলন তুলে নিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মোবাইলে চার্জ শেষ? যাতাযাতের সময় মেট্রোই দেবে পাওয়ার ব্য়াঙ্ক
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে এবার বিশ্বভারতীর হস্টেল খুলতে চলছে। বিচারপতি এদিন নির্দেশ দেন পরীক্ষার দিনগুলিতে হস্টেল খোলা রাখতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। পুরো বিষয়টিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সাহায্য করবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। জানালেন বিদেশি ছাত্রছাত্রী এবং তৃণমূল ছাত্রপরিষদের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।
এর পাশাপাশি দু'জন ছাত্র প্রতিনিধি, দু'জন পুলিশ কনস্টেবলের সামনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ হস্টেলের রুমগুলির তালা ভেঙে হস্টেল খুলবে।
পরীক্ষার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ঘর বরাদ্দ করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। একই ভাবে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলন তুলে নিতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী খুললেও ছাত্রাবাসগুলো খোলেনি। দূর-দূরান্ত থেকে এসে বহু পড়ুয়া ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে এই বিশ্বভারতীতে।
তাই ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় আন্দোলন, ডেপুটেশন কর্মসূচি চলছিল।
২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে একই দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবন, কলাভবন, পাঠভবন, শিক্ষাভবন-সহ একাধিক বিভাগের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেয় ।
বিভাগের গেটে তালা গিয়ে চলে বিক্ষোভ। পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসচিবের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে আসেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়াদের। ছাত্রীদের পোশাক ছিঁড়ে যায় ধ্বস্তাধস্তিতে।
পরে কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা।
দাবি না মানায় ঘেরাও থাকেন তিন আধিকারিক। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘেরাও মুক্ত হন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ, সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতো।
কিন্তু তার পরে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ তোলেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ভবন এবং অফিসে তালা মেরে বন্ধ করে রেখেছে। এর ফলে পঠনপাঠন হচ্ছে না। এর পরিপেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।