Visva Bharati University Merit List Debate: বিশ্বভারতীর এমএডের মেধা তালিকা নিয়ে বিতর্ক সামনে আসতেই তুলে নেওয়া হল তালিকা। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
চূড়ান্ত বিতর্ক
এমএডের মেধা তালিকায় নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসেতেই দ্রুত তুলে নেওয়া হল ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা।
বিশ্বভারতীর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশোধন করে দ্রুত মেধা তালিকা আবার প্রকাশ করা হবে।
বিনয় ভবনের এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা দেখে মূল্যায়ন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেক ছাত্রছাত্রী।
অভিযোগ উঠেছে চূড়ান্ত অনিয়মের। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি খতিয়ে দেখবে মেধা-তালিকায় এই ধরনের ভুলের জন্য কারা দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিনয় ভবনের এমএড-এর প্রকাশিত মেধাতালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ভাষা বিভাগে দুই পড়ুয়া একশোর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮ এবং একশো আটানব্বইয়ের কিছুটা বেশি।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে একশো ছিয়ানব্বই এবং একশো একান্নর কিছুটা বেশি।
২০২১ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বিনয় ভবনে এমএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-র অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
ওই পাঠক্রমটির ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি আসন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এর পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত।
১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়।
পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।
বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-র ছাত্রী তানিয়া দাসের অভিযোগ, আসলে মেধা তালিকা নিয়ে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে। এবার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। এই ধরনের ভুল হয় কি করে। আর এই ভুল মেধা তালিকায় বিভাগীয় প্রধান কি ভাবে সই করলেন? এই বিষয়ে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)-র মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।